১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জাজিরায় ফেরি দুর্ঘটনায় ঝালকাঠির খোকন নিহত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৯ অপরাহ্ণ, ১৯ জুন ২০২২

জাজিরায় ফেরি দুর্ঘটনায় ঝালকাঠির খোকন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে দুই ফেরির সংঘর্ষে গাড়িচাপায় নিহত খোকন শিকদারের মরদেহ ঝালকাঠিতে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। কাঁঠালিয়া থানার চিংবাখালি গ্রামে রোববার বিকেলে পৌঁছে খোকনের মরদেহ। তার বাবা হারুন সিকদার ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় পরিবারসহ এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন। বাড়িতে খোকনের মা, বাবা, দুই স্ত্রী, এক কন্যা এবং তিন পুত্র সন্তান থাকেন।

এর আগে স্ত্রী তাহামিনার কাছে খোকনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

তাহমিনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী পিকআপ ভ্যানে মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলেন। রোববার ভোররাতে তার নম্বর থেকে ফোন করে পুলিশ আমাদের মৃত্যুর তথ্য দেয়।’

৪০ বছর বয়সী খোকন শিকদারের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার চিংবাখালি গ্রামে। তিনি পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন।

পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্টে শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বেগম সুফিয়া কামাল ও বেগম রোকেয়া ফেরির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গাড়ির চাপায় নিহত হন খোকন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিটি মাঝিরকান্দি থেকে শিমুলিয়া আসছিল ও বেগম রোকেয়া শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি যাচ্ছিল। জাজিরায় পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্টে দুই ফেরির সংঘর্ষ হয়। সে সময় বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিতে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন একটি গাড়ির চাপায় নিহত হন। তিনি পিকআপ ভ্যানে মাছ নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা জামাল বলেন, ‘তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি।’

এ দুর্ঘটনায় একজন নিখোঁজ বলে জানান মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘দুই ফেরির সংঘর্ষে একজন পদ্মায় ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। তিনিও সুফিয়া কামাল ফেরিতে ছিলেন।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন