১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জাতীয় পার্টিতে রুহুল আমিন হাওলাদারের পদোন্নতি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৫৯ অপরাহ্ণ, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এই পদে নিয়োগ লাভের পর হাওলাদার দলের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তাঁর সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর পদমর্যাদা হবে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদের পরেই, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে।

আজ শনিবার (0৮ ডিসেম্বর) রাতে জাপার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চেয়ারম্যানের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়ের সই করা এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে এরশাদ ও হাওলাদার-দুজনের বিরুদ্ধেই মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন দলের নেতাদের অনেকে। কেউ কেউ দল থেকে পদত্যাগও করেন। ভাঙচুর করা হয় এরশাদের বনানী কার্যালয়।

এরপর গত ৩ ডিসেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। ওই দিনই মহাসচিব পদে নিয়োগ দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে। মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দর-কষাকষির মধ্যেই এরশাদ একাধিকবার অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান। তাঁর অসুস্থতা নিয়েও দলের ভেতরে-বাইরে নানা কথা আছে। এখনো ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ঝুলে আছে। এরই মধ্যে মহাসচিব বদল, পাঁচ দিনের মাথায় আবার হাওলাদারকে এরশাদের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দলের পদমর্যাদায় দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা করার ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঋণ খেলাপির কারণে পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেও রুহুল আমিনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা শুরু হলেও জাতীয় পার্টি এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেনি। আজ শনিবার রাতে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করেছে দলটি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন এরশাদ। তাঁরা দাখিল করেন মনোনয়নপত্র। পরে হঠাৎ আবার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও দেন দলীয় প্রার্থীদের। একপর্যায়ে সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এরশাদকে। তিনি সেখানেই ছিলেন ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই নির্বাচনে এরশাদ নিজেসহ তাঁর দলের ৩৩ জন নেতা সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর দল প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যায়। তিনি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান ’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন