১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ শরিয়তের দৃষ্টিতে যথার্থ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১২ অপরাহ্ণ, ০৬ এপ্রিল ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ শরিয়তের দৃষ্টিতে সঠিক ও যথার্থ বলে মন্তব্য করেছেন আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম বা হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা আহমদ শফী।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের অর্থসহ তরজমা করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এতে তিনি বলেন, ইসলাম নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ হওয়াকে সমর্থন করে না; বরং নিষেধ করে। সর্তকতা ও সচেতনতা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যেকোনো আসু ক্ষতি থেকে সতর্ক থাকা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বর্তমানে বেশ ঝুকিপূর্ণ। বর্তমান চিত্র ভয়াবহরূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারির আকার ধারণ করছে। খুব দ্রুতগতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্তদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। এ মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দু’আ এবং শরিয়তের আলোকে সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার যেকোনো ধরনের বড় জমায়েতকে নিষেধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে। জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ জারি করেছে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এসকল সতর্কতামূলক নির্দেশনা সঠিক ও যথার্থ। সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাকে মূল্যায়ন করা এবং তা উত্তমরূপে গ্রহণ ও পালন করা মানবতার কল্যাণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।

তবে সতর্কতা ও ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের একমাত্র কাজ নয় এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কৃতপাপ ও সমূহ অন্যায় থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ভবিষ্যতে সকল অপরাধ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা করে খালিছ দিলে তওবা করতে হবে। ঘরে বসে দু‘আ, ইস্তেগফার ও নফল ইবাদাতে মাশগুল থাকতে হবে। যেন আল্লাহ তা’আলা অনতিবিলম্বে আমাদের থেকে এ মহামারি তুলে নেন। নিরাপদে জীবন যাপন করার তওফিক দান করেন। আমাদেরকে ও সারা বিশ্বকে এ মহামারি থেকে পরিত্রাণ দেন।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন