২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

জীবনের নিরাপত্তা পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রলীগ নেতার আকুতি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধরে দীর্ঘ এক যুগ ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এখন পরিবারসহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। যিনি বিদেশে থাকাকালীন সময়েও বরিশাল জেলার একটি হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কু-চক্রী মহলের একের পর এক হামলা-মামলা এবং হয়রানিতে বিপর্যস্ত যার জীবন। তিনি হলেন- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সন্তান এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাকিল ইসলাম রাব্বি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করে সহযোগীতা চেয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি নিজে হত্যা ও গুমের শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ভিডিও সাক্ষাতকারটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

এর আগে এই তরুণ ছাত্রলীগ নেতা তার বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের সঠিক তদন্ত চেয়ে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-সদস্যদের অব্যাহত হেনস্থা থেকে বাঁচতে গত ২ জুলাই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলেন। তবে তাতেও কোন সুফল না পেয়ে শেষ ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টির আশায় ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি তার মানবেতর জীবনযাপন ও আসহায়ত্বের কথা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চান।

ছাত্রলীগ নেতা সাকিল ইসলাম রাব্বি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেয়া ওই ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের হাজী মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তিনি। তবে বাবা রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়ায় তার বেড়ে ওঠা রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায়। সেখানকার নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নের শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। সেই সুবাদে আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মোহাম্মদপুর-আদাবর-শেরেবাংলা নগর থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানককে রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে মানতে শুরু করেন। পরবর্তীতে সাবেক এই যুবলীগ চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় দলীয় কর্মকান্ডে আরও বেগবান হওয়ায় একাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নকালেই মোহাম্মদপুর থানাধীন ২৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাকিল ইসলাম রাব্বি। এরপর তরুণ এই ছাত্রনেতা আরও উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভর্তি হন সরকারি বাংলা কলেজে।

তিনি আরও জানান, মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে খুব স্নেহ করতেন। ফলে রাব্বিও স্থানীয় নেতাদের দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমেও অংশগ্রহন করতেন। যার ফলপ্রসূ রাজধানীর বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সবশেষ গঠিত কার্যকরি কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তরুণ এ ছাত্র নেতা। অদ্যবধি তিনি সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ওই পদের দায়িত্ব পালন করলেও গত দুই বছরে তার জীবনে ঘটে গেছে কিছু অনাকাঙ্খিত ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। যেসব ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার তিক্ত-বিরক্ত হয়ে সর্বদা আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছেন।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাকিল ইসলাম রাব্বি তার সাথে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই ভিডিও সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, রাজধানীতে ছাত্রলীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পরে নিজ গ্রামের বাড়ির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০১৭ সালে বরিশালের উজিরপুরের জল্লায় যান। তিনি সেখানে অবস্থানকালে তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুর বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল চুরির অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে সেই চাল চুরির ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যান নান্টুর বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং রাব্বিও সেখানে অংশগ্রহণ করেন। চাল চুরির অভেযোগের কয়েক মাস পরে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকার কারফা বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জল্লা ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু। সে সময় ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি ছিলেন দেশের বাহিরে। কিছুদিন পরে তিনি দেশে ফিরে জানতে পারেন, উজিরপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান নান্টু হত্যার ঘটনায় রাব্বিকে পাঠারবলি বানিয়ে ওই হত্যা মামলায় আসামি করেন। শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যানের চাল চুরির প্রতিবাদে যারা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলো তাদের অনেককে ওই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেশে ফেরার পরে হত্যা মামলা সম্পর্কে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লাস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয় থেকে কয়েকজন কর্মীসহ রাব্বিকে গ্রেফতার করে চোখ বেধে মিন্টু রোড নিয়ে যায় উজিরপুর থানা পুলিশ। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাকে নিয়ে যায় বরিশাল এবং অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে সাজানো লেখার ওপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে তরুণ এই ছাত্রলীগ নেতাকে বাধ্য করে পুলিশ। তখন নিজের জীবন বাঁচানোর তাগিদে তিনি সবকিছু করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। এছাড়া রাব্বিকে গ্রেফতারের সময় তার ছাত্রলীগের অফিস থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাগজপত্র, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনসহ অনেক মালামাল পুলিশ নিলেও এখন পর্যন্ত তা ফেরত দেয়নি। উল্টো ওই হত্যা মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বির বাবা রাজধানীতে বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সেলিম রেজার বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিহত নান্টুর পরিবার।

অপরাধ না করেও দীর্ঘদিন কারাবাসের কথা জানিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি জানান, উজিরপুরের রাজনৈতিক নেতাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হত্যা মামলায় কয়েকমাস জেল খেঁটে জামিনে মুক্তি লাভের পর তিনি ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরে যান। এরই মধ্যে শুরু হয় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন। তখন দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে নেমে পড়েন তিনি। স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ মেতাবেক সংশ্লিষ্ট উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম রতনের পক্ষে নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারনায় অংশ নেন ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি।

নির্বাচনী মাঠে প্রচারনায় অংশগ্রহনের একপর্যায়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তার কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। খবর পেয়ে তিনি আহত কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে মামলা করতে মোহাম্মদপুর থানায় রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিউল আলিমের সমর্থকরা রাব্বিসহ তার কয়েকজন কর্মীকে আটক করে একটি বাড়িতে নিয়ে মারধর করে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে র‌্যাব-পুলিশ অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীর্তে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রাব্বিসহ তার কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অস্ত্র মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বির ওপর সামিউল আলিম ও তার সমর্থকদের হামলার ঘটনায় পরিবারের দায়ের করায় মামলায় অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আজও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

নিজ দলীয় সিনিয়র নেতাদের নোংরা রাজনীতির শিকার হওয়া এই তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জানান, নৌকার সমর্থিত প্রাথীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে রাব্বি রাজধানীতে তার আদাবরের বাসায় অবস্থান করেন। এরই মধ্যে রাব্বি তার একাধিককর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন, সেই কাউন্সিলর প্রার্থী সামিউল আলিম স্থানীয় সূচনা কমিউনিটি সেন্টারসহ, টিক্কাপাড়া ও জহুরী মহল্লায় তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাকে অপহরন কিংবা বড় ধরনের কোন ক্ষতি করতে চায়। পরবর্তীতে পরিবারের পরামর্শে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি জীবনযাপন করে ত্যাগী এই ছাত্রলীগ নেতা নিজ জীবনের নিরাপত্তা এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার সঠিক তদন্ত চেয়ে গত ২ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, র‌্যাব প্রধান ও তেজগাঁও জোনের ডিসির কাছে লিখিত আবেদন করেন।

তিনি আরও জানান, নান্টু হত্যার ঘটনায় নিজ উপজেলার আ’লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ায় দীর্ঘ দুই বছর পর গত কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ফের নিজ গ্রাম উজিরপুরের জল্লায় যান ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি। সেখানে অবস্থানকালে গত ১৫ আগস্ট নিজ বাড়ি সংলগ্ন বাহেরঘাট সৌদি মার্কেট এলাকায় একদল সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। সে ঘটনায় পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে উল্টো রাব্বি ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করেন। ঘরের মধ্যে একমাত্র পুরুষ সদস্য রাব্বি। এছাড়া বাসায় তার অসুস্থ মা, ৯০ বছরের বৃদ্ধা নানী, ৫ জন শিশুসহ কয়েকজন নারী আত্মীয়া ও ২ জন গৃহকর্মীও ছিলেন। হঠাৎ রাত আড়াইটার দিকে ঘরের দরজায় লাথি এবং জানালায় আঘাতের বিকট শব্দ শুরু হয়। এ সময় ঘরের মধ্যে থাকা নারী-শিশুসহ আশপাশের প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাব্বির পরিবারের সদস্যরা ফোন করে প্রতিবেশিদের কাছে এবং তিনি নিজে ৯৯৯ নম্বরে সাহায্য চান। তখন এলাকাবাসী ডাকাত পড়েছে ভেবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় এবং গ্রামের হাজারো মানুষ তাদের বাড়িতে ছুটে আসে। এ সময় বাহির থেকে একজন জানান, তারা আইনের লোক। বাসায় অবৈধ কিছু রয়েছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালাতে র‌্যাব-৮ থেকে তারা এসেছেন।

ছাত্রলীগ নেতা সাকিল ইসলাম আরও জানান, আইনের লোক পরিচয় দেয়ার পর তিনি জানালা দিয়ে দেখেন বাইরে যারা রয়েছেন তারা র‌্যাবের জ্যাকেট পরিহিত। সম্ভবত কর্মকর্তা পর্যায়ের ওই ব্যক্তির পেশাগত আচরনে আস্বস্ত হয়ে তিনি দরজা খুলে দেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের নিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তার পুরো ঘরে ঘন্টাব্যাপী তল্লাশি চালায়। কিন্তু শেষাবধি অবৈধ কিছু না পেয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা তাকে ধন্যবাদ জানায় এবং কোনো ধরনের নির্যাতন-হয়রানি করা হয়নি মর্মে মৌখিক জবানবন্দি নেয়। এরই মধ্যে উজিরপুর থানার এসআই মো. এনামুল ও রবিউল ইসলামসহ কিছু পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পুলিশের উপস্থিতিতে র‌্যাব সদস্যরা চলে যাবার সময় ভুল তথ্য দাতাদের গালাগালি করতেও শোনা গেছে।

গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রধানন্ত্রীর কাছে ছাত্রলীগ নেতা সাকিল আহম্মেদ রাব্বি তার বর্তমান দুরবস্থা ও হয়রানি থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের হয়রানিতে পরিবার নিয়ে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক সিনিয়র নেতাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে গিয়ে তার পরিবার আজ মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া। এতে একপ্রকার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন ছাত্রলীগের নিবেদিত এই তরুণ নেতা। এমন পরিস্থিতিতে তিনি তার এবং দেশবাসীর একমাত্র ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আমাকে নতুন ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাবেন’।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন