২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

জেল-জরিমানা আছে পার্কিং প্লেস নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে আছেন রাজধানীর ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা। রাস্তায় স্বল্প সময়ের জন্য গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত পরিমাণে নির্দেশনা না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেক চালক না বুঝে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখার ফলে মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন। তবে আগের তুলনায় টাকার পরিমাণ বেশি হওয়া ও রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাড়িচালকরা।

সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক এলাকায় গেলে দেখা যায়, যেসব রাস্তার পাশে পার্কিং আছে তা পরিমাণে অনেক কম। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় এই সমস্যা আরও বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পার্কিং না থাকায় অনেকেই খালি জায়গায় গাড়ি রেখেছে। সেসব এলাকায় গাড়ি রাখা বা না রাখা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে পার্কিং লেখার বাইরে গাড়ি রাখলেই মামলা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বলছে, আমরা শুধু আইন প্রয়োগ করে থাকি। এর বাইরে আমাদের আর কোনো কাজ নেই। কোথায় কী লেখা থাকবে, না-থাকবে সেটা আমাদের দায়িত্ব না।

সূত্র জানায়, শহরের কোন রাস্তায় কোথায় গাড়ি থাকবে আর থাকবে না, সেটা নির্দেশ দেবে সিটি করপোরেশন। সে ব্যাপারে তারা কিছুটা উদাসীন। কোনো রকমের গবেষণা না করেই খামখেয়ালিভাবে নির্দেশনাগুলো দেয়া হয়। যার ফলে রাস্তায় যেমন যানজট লাগে আবার অপর দিকে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও গাড়ি রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা এখন স্মার্ট পার্কিং করেতে যাচ্ছি। রাস্তায় পার্কিংয়ের অনুমতি দিলে যানজট লেগে যায়। অল্প সময়ের জন্য পার্কিং করা গাড়িগুলোর জন্য কী ব্যবস্থা করবেন— এমন প্রশ্নে করা হলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি এবং এর বেশি বলতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক শাখার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা শুধু দেখি কোথাও আইন অমান্য হয় কি না। আইন অমান্য হলেই আমরা আইন প্রয়োগ করি। এর বাইরে আমাদের আর কোনো কাজ নেই।

সূত্রমতে, এসব নির্দেশনা দেয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হলেও ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দিতে হবে। কোথায় কেমন গাড়ির চাপ থাকে তা ট্রাফিক বিভাগ ভালো জানে। এটা বাস্তবায়ন করার দায় দুপক্ষেরই আছে। এটা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা আশা রাখছি আগামী মাসের মধ্যে এই সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেলেই আমরা পার্কিং এর জায়গাগুলো উল্লেখ করে দিতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আপাতত রাজধানীবাসীকে একটু সমস্যায় থাকতে হবে।

এ দিকে ঢাকা উত্তর মেট্রোপলিটন ট্রফিক শাখার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরাও বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার সিটি করপোরেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি, বিষয়টি তারা সমাধান করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন