২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঝালকাঠিতে উধাও প্যারাসিটামল ও জীবাণুনাশক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, ২৬ মার্চ ২০২০

বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির বাজার থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে জ্বর ও ব্যথানাশক প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধসহ জীবাণুনাশক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সেইসঙ্গে মাস্কের দামও চড়া। ক্রেতারা বাজারে হন্যে হয়েও খুঁজে পাচ্ছেন না এসব সামগ্রী। অনেক দোকানে ‘জীবাণুনাশক সামগ্রী নেই’ বলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি ওষুধ বিক্রেতারা অতিমুনাফার লোভে গুদামজাত করে রেখেছেন ওষুধসহ জীবাণু ধ্বংসকারী এসব সামগ্রী। অনেকে পরিচিত বা খুচরা ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

তবে পাইকারি ওষুধ বিক্রেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি থেকে এসব পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। যে কারণে আমরা ক্রেতাদের দিতে পারছি না।

ঝালকাঠি শহরের কালীবাড়ি রোড, স্টেশন রোড, পূর্বচাঁদকাঠিসহ শতাধিক দোকান খুঁজেও পাওয়া যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক সামগ্রী। অনেক দোকানে পাওয়া যায়নি জ্বর-সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ।

মো. আব্দুল মালেক নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, ঝালকাঠির ওষুধের দোকানগুলোয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের বড় দোকানগুলো থেকে বলা হচ্ছে সাপ্লাই নেই। কিন্তু পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন ছোট ওষুধের দোকানিরা এসে চাইলে ঠিকই জীবাণুনাশক ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তাই উপায়হীন হয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারই একমাত্র অবলম্বন।

পাইকারি ও খুচরা ওষুধ ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ওষুধ কোম্পানি থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক ওষুধ সরবরাহ করছে না। কোম্পানিগুলোকে বারবার তাগাদা দেয়ার পরও তারা দিচ্ছে না, যা দিচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। প্রতিদিন সহস্রাধিক কাস্টমার এসব পণ্য চাইছেন। কিন্তু দিতে পারছি না।

ঝালকাঠি জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুন্সি আবুল কালাম আজাদ জানান, এসিআই, অ্যারিস্টোফার্মা, জেনারেলসহ দেশের প্রায় ৩০ কোম্পানি জীবাণুনাশক সামগ্রী বাজারজাত করে। কিন্তু দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকেই এসব পণ্য সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। প্রতিদিন ক্রেতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। এতে আমাদেরও খারাপ লাগছে। তবে তিনি মজুদ করে বেশি দামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

অপরদিকে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। আকার ও মান ভেদে প্রতিটি মাস্কের দাম প্রায় দ্বিগুন রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

এ বিষয়ে দোকানি রাসেল খান মামুন বলেন, আমরা মাস্ক তৈরি করে বিক্রি করি না। গার্মেন্টস থেকে সরবরাহ করা মাস্ক যে দামে পাইকাররা বিক্রি করে তা থেকে সামান্য লাভ রেখেই ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন