জহিরুল ইসলাম রিমন আকন উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামের মৃত শাজাহান আকনের ছেলে। তিনি দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল ব্যানার্জির ছেলে বাপিন ব্যানার্জি ও তার আত্মীয়-স্বজনকে মারধরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি রিমন আকন। শুক্রবার দুপুরে নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম উপজেলার বুড়িরহাট বাজারে গিয়ে আসামি রিমন আকনকে তার দোকানে বসা দেখতে পায়। ওই সময় তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায় আসামি রিমন কনস্টেবল শহিদুলকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে লেগে তার কপাল ফেটে যায়। এ সুযোগে রিমন দোকান থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নলছিটি থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে রিমনকে গ্রেপ্তারে আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। দুপুর ১টার দিকে রিমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বুড়িরহাট বাজার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আসে তার সহযোগী সোহাগ মোল্লা। ওই সময় সোহাগ মোল্লাকে আটক করে মোটরসাইকেলসহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রিমনকে গ্রেপ্তার করতে আসা পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতার কারণে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশ তাকে দোকানের ভেতরে বসা অবস্থায় ধরে ফেলার পরেও রাখতে পারেনি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল (পিও) পরিদর্শনে গেলে আসামি রিমন তাদের দেখে পালিয়ে যায়। এ কারণে ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন- ‘পুলিশের সঙ্গে আসামির ধস্তাধস্তির বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আসামি রিমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও তার সহযোগী সোহাগ মোল্লাকে আটক করে কেন থানায় আনা হলো- এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।’
শিরোনামঝালকাঠির খবর