২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠিতে ২ মাস ধরে কাঁটাতারের বেড়ায় একটি পরিবার অবরুদ্ধ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৫২ অপরাহ্ণ, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

ঝালকাঠির রাজাপুরে গালুয়া পাকা মসজিদ এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুই মাস ধরে রিকশাচলক জালাল হাওলাদারের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজাপুরের ইউএনও’র কাছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনও সমাধান না হওয়ায় রবিবার দুপুরে রাজাপুরে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন জালাল হাওলাদারের শাশুড়ি লিলি বেগম।

সরেজমিন দেখা গেছে- বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তায় পিলার পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ওই পরিবারের একমাত্র চলাচলের পথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারটি হয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ।

রিকশাচালক জালাল হাওলাদার ও তার শাশুড়ি লিলি বেগম অভিযোগ করেন- আওয়ামী লীগ নেতা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম মাস্টার ও সেক্রেটারি মহারাজ খান তার জমির কিছু অংশ গালুয়া পাকা মসজিদের বলে দাবি করেন। পরে তারা দলবল নিয়ে অক্টোবর মাসের প্রথমদিকে জালালের বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তায় পিলার পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেয়। পরে তারা চলাচলের পথটিও পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চায়। এ সময় জালাল ও তার স্ত্রী হ্যাপি বেগম বাধা দিলে তাদের লাঞ্ছিত করে।

জালালের শাশুড়ি লিলি বেগমের অভিযোগ, ঘটনার রাতে তিনি রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরের দিন সকালে দুই পুলিশ তদন্ত করতে এলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরে তিনি ৬ অক্টোবর সকালে ইউএনও আফরোজা বেগমের কাছে অভিযোগ দেন। ইউএনও গালুয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিজন বিহারি হালদারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চাইলে নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। সেখানে কাঁটাতার দিয়ে পথ বন্ধের কথা উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জালাল হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী ভয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পথ বন্ধ থাকায় রাতে রিকশা বাড়িতে নিতে পারছেন না। সামনের পুকুরের পানিও ব্যবহার করতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার এসআই ইউনুছ মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে ডেকে ফয়সালার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে কোনও পক্ষই আর আসেনি।

এ বিষয়ে মসজিদ সেক্রেটারি মহারাজ খান সাংবাদিকদের জানান, ‘ওখানে তাদের কোনও জায়গা নেই। মসজিদের ইমামের জন্য ঘর করবো বলে ওই পথ কাঁটাতার ও পিলার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও আফরোজা বেগম পারুল সাংবাদিকদের জানান- মসজিদ কমিটির আপত্তি থাকায় ওই পরিবারকে বিকল্প পথ দেওয়া হয়েছে। তাতে যদি তাদের কোনও আপত্তি থাকে তবে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন