২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠির ৩ ইউনিয়নে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ৬০ হাজার মানুষ 

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৬ অপরাহ্ণ, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠির ৩ ইউনিয়নে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ৬০ হাজার মানুষ 

মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি >> শুষ্ক মৌসুমে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কটে পড়েন।  উপকূলীয় এলাকা ঝালকাঠি। নলকূপে ওঠে লবনাক্ত পানি। দীর্ঘদিন ধরে পানির এ সমস্যায় জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেঁচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ। বছরের অন্য সময় পুকুর ও ডোবার পানিতে বিশুদ্ধকরণ ওষুধ দিয়ে পান করেন বাসিন্দারা। আর যাদের সামর্থ্য নেই, তারা লবণাক্ত পানি দিয়েই সারেন গৃহস্থালী কাজ। কেউ কেউ শুষ্ক মৌসুমের জন্য পানি সংরক্ষণও করে থাকেন। কিন্তু, শুষ্ক মৌসুম এলেই পানির বিকল্প উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানায়, তিনটি ইউনিয়নে ৯৬টি অগভীর নলকূপের মধ্যে অকেজ ৮টি। পুকুর পারে ১৭২টি পানির ফিল্টার স্থাপন করা হলেও এগুলোর প্রায় সবই অকেজো থাকে। পরে লবণাক্ততা দূরীকরণ প্লান্ট স্থাপন করে ৪টি, সেগুলো নষ্টের পথে।
স্থানীয়রা জানান, সুপেয় পানির অভাবে ওই এলাকায় দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি। পানির সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

তবে বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে এবং পর্যায়ক্রমে শহর থেকে গ্রামেও পাইপ লাইনে পানি পৌঁছানোর কথা জানালেন কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার।

এদিকে, লবণাক্ত পানি পান করলে নানা সমস্যার কথা জানান জেলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী।
সুপেয় পানির স্থায়ী সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন