২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠি আ’লীগ নেত্রী কেকা ক্ষুব্ধ, সংগঠন থেকে নেত্রীর পক্ষালম্বনে ব্যাখ্যা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ১৮ মার্চ ২০২০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: ঢাকায় একজন সাবেক সাংসদের বাসায় নরসিংদীর জেলা মহিলালীগের বিতর্কিত নেত্রী পাপিয়ার সাথে ঝালকাঠি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন চৌধুরী কেকাকে নিয়ে ‌‘বরিশালটাইমস’ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিপরীতে নেত্রীর পক্ষে জেলা আ’লীগ আত্মপক্ষ সমর্থনে নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি জেলা আ’লীগের প্যাডে সংগঠনের দপ্তর সম্পাক মো. শহিদুল ইসলাম ওই সংবাদটির প্রতিবাদ সুলভ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন- ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে কেকা অংশ নিলে সেখানে পাপিয়াও উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তোলায় একথা প্রমাণ করে না যে, বিতর্কিত পাপিয়ার সাথে কেকার সখ্যতা রয়েছে। সেখানে পাপিয়ার ন্যায় আরও অনেক দলীয় মহিলালীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কে অপরাধী তা গায়ে লেখা থাকে না।

তাছাড়া একজন সচেতন ব্যাক্তি কখনওই চিহ্নিত অপরাধীর সাথে ছবি তুলতে উৎসাহী বোধ করার কথা নয়। যদি তাই হতো, তাহলে ঢাকার সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও রাজধানী দক্ষিণের মহিলা নেত্রী তুহিনও নরসিংদীর অন্ধকার জগতের পথিক পাপিয়ার সাথে ছবি তুলতেন না। ধারনা করা হচ্ছে- কোন একটি মহল কেকাকে রাজনীতিতে কোনঠাসা করাসহ সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার মানুষিকতায় পরিকল্পিতভাবে সংবাকর্মীদের কাছে ওই ছবিটি উপস্থাপন করে নানা মনগড়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশে উৎসাহিত করেছেন। দপ্তর সম্পাক শফিকুল ইসলাম দাবি করেন- কেকার রাজনৈতিক উথ্যান পর্ব ঝালকাঠি কেন গোটা বরিশালের মানুষ অবগত। অনেক কন্ঠকময় ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন এই নেত্রী। একটি মহল ইর্ষান্বিত হয়ে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে, তা প্রকাশিত এই সংবাদের মধ্যে দিয়ে আভাস পাওযা যায়। সেই সাথে জেলা আ’লীগের কান্ডারী ও জাতীয় নেতা আমির হোসেন আমুর স্নেহধন্য কেকাকে তার কাছ থেকে দুরত্ব তৈরী করতে ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হতে পারে।

বরিশালটাইমস এর ব্যাখ্যা হচ্ছে- কারও প্ররোচনায় নয়, বাস্তবতা হচ্ছে- পাপিয়ার সাথে কেকার ছবি দেখে অনুমান ও বিভিন্ন মহল জোর দাবি করেছিল এই দুই নেত্রীর মধ্যে সখ্যতার কথা। সেই সূত্র ধরেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এখানে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিবেদকের কোন স্বার্থগত বিষয় নিথিত নেই। এমনকি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কারও সাথে কোন বিরোধও থাকার কথা নয়। তবুও এ ধরনের সংবাদে কেকা ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক বলে আমরা মনে করছি। অবশেষে  ভুল বোঝাবুঝি এই অবসান কল্পে ‘বরিশালটাইমস’ কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন