২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠি সেটেলমেন্ট অফিসে দুদকের তল্লাশি, ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৬ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঝালকাঠি সদর সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল দুদকের উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের সময় ঝালকাঠি সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম, নলছিটির সার্ভেয়ার মনির হোসেন ও অফিস সহকারি সুধীর রঞ্জনের কাছে পাওয়া নগদ ১৬ হাজার ৭৭০ টাকা জব্দ করা হয়। এসব টাকা কিসের সে বিষয়ে কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি ওই তিন কর্মচারী।

অভিযানে বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারী পরিচালক আল আমিন ও রণজিৎ কুমার কর্মকারও উপস্থিত ছিলেন।

সদর সেটেলমেন্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ফি না রেখে বাড়তি টাকা নিয়ে রিসিট না দিয়ে পর্চা দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদকের এ টিম। এ প্রসঙ্গে সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম দুদক কর্মকর্তাদের সামনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা করা অপরাধ ও অবৈধ। অভিযানের সময় ঝালকাঠির সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষ গত এক মাসে কতটি পর্চা সরবরাহ করে বিপরীতে কত টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে এর কোন হিসাবও দিতে পারেনি।

অভিযান পরিচালনার সময় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাদের অফিস রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। দুদক কর্মকর্তাদের কাছে নলছিটির জনৈক হায়দার মৃধা অভিযোগ করেন, তিনি ৭৯১৫/১৭ নং আপিল কেসের মাধ্যমে নলছিটির পাওতা মৌজার দলিলের জমি রেকর্ড করাতে এই অফিসে এসেছিলেন। ২টি দলিলের ৪৮ শতাংশ জমির মাত্র ১৫ শতাংশ হায়দার মৃধার নামে রেকর্ড করে বাকি জমি দলিল দাতার নামেই রেকর্ড করে দেয় সার্ভেয়ার নজরুল। হায়দার মৃধার কাছে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে না পাওয়ায় সার্ভেয়ার নজরুল ইচ্ছাকৃতভাবে এ অনিয়ম করেছে।

দুদকের অভিযানের বিষয়ে ঝালকাঠি সদরের সহকারী সেটেলসেমন্ট কর্মকর্তা জিয়াউল কবির বলেন, ঝালকাঠির ১৬৫টি মৌজার মধ্যে মাত্র ১টি মৌজার পর্চা হস্তান্তর করা বাকি আছে। আমার কাছে কেউ কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ করেনি। তাছাড়া নলছিটির কয়েকটি মৌজার শুনানি কার্যক্রম চলায় সেখানে কিছু দালালের আনাগোনার অভিযোগ পেয়ে ডিসি স্যার পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

পর্চা দেয়ার সময় বাড়তি টাকা নিয়ে রিসিট না দেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, বাড়তি টাকা নয় সেটা বকসিস হতে পারে। আর রিসিট না দিলেও তার রেকর্ডতো রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ আছে।

অভিযানের বিষয়ে বরিশাল দুদকের উপ-পরিচালক দেবব্রত মন্ডল বরিশালটাইমসকে বলেন- আমাদের অভিযানের সার্বিক বিষয় ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঝালকাঠি সেটেলমেন্ট অফিসে দুর্নীতির খবর ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।’’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন