২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত উপকূলীয় দশমিনা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ, ২৩ অক্টোবর ২০২০

মো. মামুন তানভীর, দশমিনা:: বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে তিন দিনের ভারি বর্ষণে উপকূলীয় পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এ উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহে ভারি বর্ষণের কারণে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দশমিনা উপজেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি  জমেছে। জলমগ্ন উপজেলার বহু অংশ। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে  তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদী।
বুধবার মধ্যরাত থেকে বর্ষণ শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত ভারি বর্ষণ অব্যহত রয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। বৃষ্টিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত শ্রমজীবী মানুষদের। বিশেষ করে দশমিনার ছিন্ন মানুষের বাসস্থান আবাসন প্রকল্পের ও দ্বীপ ইউনিয়ন চরবোরহানের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
 নিন্মচাপ ও ভারি বর্ষণের ফলে নদীর পানি কয়েকফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এ উপকূলের কিছু কিছু নিন্মাঞ্চল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারে নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকফুট বেড়েছে।
অন্যদিক, ভারি বর্ষণের শুরু থেকেই উপজেলায় রয়েছে বিদ্যুৎ ভোগান্তি। ফলে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ জানিয়েছেন, ভারি বর্ষণে আবাদি আমনের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধান গাছ নুয়ে পরেছে।এ ছাড়াও শীতের আগাম সবজি চাষও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে বর্ষণ না কমার কারণে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাচ্ছেনা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দশমিনা উপজেলাসহ পটুয়াখালী জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে ৬৫ ফুটের নিচে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন