২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুশফিক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৪৯ অপরাহ্ণ, ১২ নভেম্বর ২০১৮

পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ঠিক ২০০ রান ছিল এতদিন তার সর্বোচ্চ ইনিংস। আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেললেন মুশি। এই ম্যাজিক্যাল মাইলফলকে পৌঁছতে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খেলেছেন ৪০৭ বল; হাঁকিয়েছেন ১৬ টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুশফিকের সংগ্রহ ২০০ রান। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মেহেদী মিরাজ। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪৮৬ রান।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জার্ভিসের বলে ধরা পড়লেন চাকাভার গ্লাভসে। এর সঙ্গে ভাঙে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি। এরপর টিকতে পারেননি আরিফুল হকও। মুশফিকের সঙ্গী হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে গতকাল রবিবার প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদ থেকে টেনে তুলেন মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। দিনের খেলার শেষভাগে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মুমিনুল হক। তার ২৪৭ বলে ১৬১ রানের অসাধারণ ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি।

মুমিনুলের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খেলেন ১৮৭ বল। হাঁকান ৮টি বাউন্ডারি। মুমিনুল আউট হওয়ার পর ৬ ওভার বাকী থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে উইকেটে আসেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলাম। ৪ রান করে জার্ভিসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। রিভিউ জিতে তাইজুলকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। দিনের বাকী সময়টা দুই ভায়রা-ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিরাপদে কাটিয়ে দেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন