১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৩ ভাগে বিভক্ত!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৫ অপরাহ্ণ, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্য অভ্যন্তরীন কোন্দল দিন দিন বাড়ছে। আর এই কোন্দল ও মতপার্থক্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের বিভিন্ন থানায় ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিভক্ত নেতাদের মধ্যে আবারো মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ২০১৮ সালের ৩ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এমএ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান সাংগঠনিক ইউনিটের ২৫টি থানা ও ৫৮টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘোষিত এই কমিটিগুলোয় যোগ্য ও ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বিতর্তিকরা স্থান পাওয়ায় মহানগর কমিটির ৬৬ জন নেতার মধ্য ৩৪ জনই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পৃথক কর্মসূচি পালন করতে থাকেন নেতারা। নেতারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে বিএনপি মহাসচিব তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকেও অবহিত করেন বিক্ষুব্ধ নেতাা। তবে দলের হাইকমান্ড কোন্দল সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় ওই ৩৪ নেতা পৃথক ব্যানারে দলীয় কর্মসূচি পালন শুরু করেন। তাদের ওই বিভক্তি এবং কোন্দলের বহি:প্রকাশ হিসেবে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মুুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনাও ঘটে ওইসময়ে।

সম্প্রতি নীতি ও আদর্শগত কারণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি বিক্ষুব্ধ এই অংশটির মধ্যেও বিভক্তি শুরু হয়েছে। এর বৃহৎ অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুনসহ অন্যান্যরা।

অপরদিকে ক্ষুদ্র অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

এবিষয়ে ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি বলেন, যে কারণে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলাম, সেই নীতিতে কখনো আপস করতে পারি না। যারা সাময়িক লাভের উদ্দেশ্যে আপোষ করেন, তাদের সঙ্গে আমরা থাকতে পারছি না। তবে স্পষ্টতো আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই।

মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি কর্তৃক গঠিত থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগীদের বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের দাবি ছিল- বাদ পড়া যোগ্যদের নেতাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এভাবেই আমরা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরেছিলাম। এর বাইরে তাদের অন্য কোন দাবি ছিলো না। তারা এ জায়গাটায় এখনো স্থির রয়েছেন।

ঢাকায় বিএনপিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল মহানগরকে দুই ভাগ করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বাশারকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৭০ সদস্যের এবং এমএ কাইয়ুমকে সভাপতি ও আহসানউল্লাহ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা উত্তরের ৬৬ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদের মধ্যে এমএ কাইয়ুম মামলা জটিলতার কারণে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন