২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

তজুমদ্দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাঙচুর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, ১৭ মার্চ ২০১৯

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান এর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের কর্মী ও সমর্থকদেরকে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার রাতে সংঘর্ষ নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বিদ্রোহী দেওয়ান গ্রুপের ৮ জনকে ভোলা ও তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল লিখিত অভিযোগে জানান, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তজুমদ্দিন উপজেলার চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু তিনি প্রচার প্রাচরণা শুরু করলে তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ানের কর্মীরা এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি কর আসছে। এবং গভীর রাতে তার নেতাকর্মীদের বাড়িতেও গিয়েও হুমকি দিচ্ছেন ফজলুল হক দেওয়ানের লোকজন।

তিনি আরও জানান, শনিবার রাতে শুম্ভুপুর ইউনিয়নের গাছিকাটা খাল ও চাঁদপুর ইউনিয়নের ভুবন ঠাকুর এলাকায় তার নির্বাচনী অফিসে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন ভাঙচুর চালায়। এ সময় তার ১৫-২০ জন নেতাকর্মীকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে রতন মাঝির নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মারধর করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাশেদ, সাইদুল হক, মো. ফরিদ, নুর নবী, সেহাগ, আবুল কালামকে গুরুতর অবস্থায় তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ছাড়া আরো দু’জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে প্রচারণার প্রথম দিনে উপজেলার শিবপুর খাশেরহাট বাজার এলাকা থেকে তার কর্মীদের কাছ থেকে নির্বাচনী পোস্টার ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও তার কোনো সমাধান পাননি।

এদিকে মোশারেফ হোসেন দুলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার সাথে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তজুমদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতা জলিল মহাজন, তজুমদ্দিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ কিরণসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান সাংবাদিকরা জানান, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর কোনো হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়নি। আমার লোকজন ভুবন ঠাকুর বাজার এলাকায় একটি নির্বাচনী অফিসে প্রচরাণার মাইক বাজানোর সময় তার লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে সেখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তার ৮-১০ জন লোক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জাহিদ নামের একজনকে ভোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কোনো নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে তিনি স্বিকার করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা তিনি জানেন না। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। ’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন