২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির মনোনীত কলাগাছও জয়ী হবে : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:২৪ অপরাহ্ণ, ২৭ মে ২০২৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির মনোনীত কলাগাছও জয়ী হবে : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি।। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার মাধ্যমে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠ ও নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিরোধী দলীয় সরকার প্রধান শেখ হাসিনার দাবী ছিলো তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, জনগণ তা মানবে না।

এদাবিতে তিনি আন্দোলন সংগ্রামও করেছিলেন। এখন সেই শেখ হাসিনাই দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে ভোট ডাকাতি করছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ভোট চোর- ভোট ডাকাতের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবো না।

নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি যদি কলাগাছকেও মনোনয়ন দিয়ে দাড় করায়। সেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান ও এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু ঝালকাঠি জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কখা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গাজীপুর সিটিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। মানুষ নৌকার বিকল্প ভালো প্রার্থী খোজে। তাই জনগণ একজন গৃহিনীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছেন। সরকার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট চুরি করে জনজোয়ারের কাছে টিকতে পারেনি।

মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, সকাল হলেই শুধু শুনতে পাই আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ শুধুমাত্র ৭মার্চের ভাষণ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর কি অবদান আছে? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করে মর্শাল ল’ ভেঙে দেশেই স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বীরউত্তম উপাধীতে ভুষিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই তিনি দেশ ত্যাগ বা পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পন করেন নি। আওয়ামীলীগে কতজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছে। আর বিএনপিতে এখনও বহুসংখ্যক বীরউত্তম, বীরপ্রতিক, বীরবিক্রমসহ বহু খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা প্রহসনের মামলা দিয়ে কারাগারে বন্ধী রেখেছেন। তারেক রহমানের দুরদর্শী দিকনির্দেশণা ও কর্মতৎপরতার কারণে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অগ্রণী ভুমিকা প্রশংসনীয়। আন্দোলেনর মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারসহ ১০দফা দাবী আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালন করার আহ্বান জানান বিএনপির এই কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা।

বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার সকাল ১০টায় শহীদ ক্যাপ্টেন বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির স্টেডিয়ামে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক চান, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেনভুট্টো, বরিশাল মহানগর যুবদল সভাপতি তছলিম উদ্দিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন, নির্বাহী সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ পিপলু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে জনসমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সভাপতি এজাজুল হক, সাধারন সম্পাদক শওকত হোসেন খোকন, পৌর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট নাসিমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু, নলছিটি উপজেলা সভাপতি এডভোকেট আনিচুর রহমান খান হেলাল, সাধারন সম্পাদক সেলিম গাজী, কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালালুর রহমান আকন, সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মিরবহর, জেলা যুবদল আহ্বায়ক শামীম তালুকদার, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আনিচুর রহমান খান, ছাত্রদল সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারন সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু, মহিলাদল সভাপতি মতিয়া মাহফুজ জুয়েল, শ্রমিকদল সভাপতি টিপু সুলতান, তাতিদল আহ্বায়ক বাচ্চু হাসান খান, স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক সরদার সাফায়াত হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নেতা এডভোকেট শামীম আলম বাবু প্রমুখ।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন