২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

তালাক দেওয়ায় স্ত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, না পেয়ে শ্বশুরকে মারধর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সাবেক স্ত্রীকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে শ্বশুরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত মো. ইদ্রিস হাওলাদারকে (৫০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরকারী সাবেক জামাইয়ের নাম মো. পারভেজ (২২)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে রাহিমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের তাতেরকাঠী গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে পারভেজ। তাদের মোসা. রুনা নামে পাঁচ মাসের একটি কন্যা শিশু রয়েছে।

পারভেজের সাবেক স্ত্রী রাহিমা বেগমের অভিযোগ, পারভেজ মাদকাসক্ত থাকার কারণে যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পারভেজ রাহিমাকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পারভেজ পালিয়ে যান।

পরে দুপুর ১২টার দিকে পারভেজ ও তার মামা আনিচ জোমাদ্দারের (৩৫) নেতৃত্বে আরও চার-পাঁচজন মিলে নুরাইনপুর বাজারে রাহিমার বাবাকে একটি দোকান থেকে টেনে-হিঁচরে নিয়ে ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। খবর পেয়ে তার মা মিনারা বেগম (৪৫) ছুটে যান এবং তার বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রিকশায় করে রওনা হন। দুপুর ১টার দিকে তারা নুরাইনপুর-তাতেরকাঠী সেতুর পূর্ব পাশে পৌঁছালে ফের তার বাবাকে মারধর করা হয়। ওই সময় তার মাকেও ধাক্কা মেরে আহত করা হয়। তার বাবা সুস্থ হলে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান রাহিমা।

এ বিষয়ে কথা বলতে পারভেজের মুঠোফোনে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার মামা আনিচ জোমাদ্দার মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেন। তবে তিনি মারধর করেননি বলে দাবি করেন। পারভেজ একাই মারধর করেছেন বলেও তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন