২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

তীব্র শীতে কাঁপছে বরিশালের উপকূলীয় এলাকার মানুষ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৬ অপরাহ্ণ, ০৬ জানুয়ারি ২০১৮

বরিশালের উপকূলীয় এলাকার মানুষ গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন। প্রচন্ড শীতে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম বিপাকে। শীতের প্রকোপে ঘর থেকে বের হতে পারছে না দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ।

বিশেষ করে এমন চিত্র প্রতীয়মাণ দ্বীপ জেলা ভোলা, পটুয়াখালী পিরোজপুর ও বরগুনার উপকূলে। এই সব জেলার হাসপাতালগুলোতেও শীতজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

এদিকে ভোলা জেলায় আজ (০৬ জানুয়ারি) মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলিসিয়াস। এতে আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বেড়ি বাধের হত দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। শীত বন্ত্র না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মাঘের শুরু থেকেই হাড় কাঁপানো শীতে ভোলার জন জীবন অচল হয়ে পড়েছে। কুয়াসার চাদর ভেদ করে সূর্যি মামার দেখা পেতে দিনভর অপেক্ষা করলেও তা যেন দুর্লভ প্রায়। একটু উষ্ণতার পেতে কেউবা আ আগুন জ্বালিয়ে জড়ো হয়ে বসেছেন। তবে হাড় কাঁপানো শীত যেন দিন দিন বেড়েই চলছে, কেউ কেউ চেষ্টা করলেও শিশু ও বয়স্করা পড়ছেন চরম বিপাকে।

জেলার হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে- মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড হয়েছে, জানুয়ারি শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে টানা শৈত্য প্রবাহ আর গরম কাপড় না থাকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোলার ছিন্নমূল হত দরিদ্র মানুষ। শীতের কারনে কাজে যেতে পারছেনা শ্রমজীবী রিকশা চালক, দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।

ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন বরিশালটাইমসকে জানান, শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ইতিমধ্যেই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় শীতবস্ত্র পৌঁছান হবে।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন