২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

থানার পাশে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ: সংক্ষুব্ধ জনতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩০ অপরাহ্ণ, ০৩ জুলাই ২০২২

থানার পাশে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ: সংক্ষুব্ধ জনতা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর বাউফল থানা থেকে মাত্র ৫শ মিটার দূরে তিনটি আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তি চললেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অভিযোগ রয়েছে- ওই তিনটি আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশকে মাসোহারা দেয়া হয়। যে কারণে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না।

রবিবার (৩ জুলাই) বিকাল তিনটা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বাউফল থানার পূর্বপাশে কালাইয়া-বাউফল পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কালাইয়া বাউফল সড়কে সৌদিয়া মার্কেটের পাশে তিনটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। নামে আবাসিক হোটেল হলে ভিতরে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। হোটেল কর্তৃপক্ষ বাহির থেকে চুক্তিতে নারী এনে পতিতাবৃত্তি করাচ্ছেন। এসব হোটেলের আশপাশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বীমা অফিস রয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে পতিতাবৃত্তির কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এ অসামাজিক কর্মকান্ডে সংক্ষুব্ধ।

সরেজমিন শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা, শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা ও রবিবার বার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হোটেল তিনটির আশপাশে অবস্থা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের নারীরা এসে হোটেলে অবস্থান করেন। প্রতিদিন ২ হাজার টাকা চুক্তিতে এসব নারীদের হোটে আনা হয়। এরপর তারা খদ্দেরের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। পছন্দ অনুযায়ী খদ্দেরদের কাছ থেকে ৫শ থেকে ১হাজার টাকা নেয়া হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়টি জানিয়ে বাউফল থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও এই পুলিশ পাঠাচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করেন ।

ওই দিন ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও পুলিশ আসেনি। শনিবারও একই অবস্থা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ বিষয় নিয়ে ওসিকে পুনরায় ফোন দেয়া হলে ২৩ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অথচ থানা থেকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে আসতে ২মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা নয়। পুলিশ এসে আল-আমিন নামের একটি হোটেলে অভিযান করে । সেখানে একজন ২০-২২ বছর বয়সী নারীকে অবস্থা করতে দেখেন। হোটেলের রেজিস্ট্রার তার নাম নেই। এ খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ওই হোটেলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি জেরার মুখে ওই নারী স্বীকার করেন হোটেল মালিক তাকে ২ হাজার টাকা কন্টাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই নারী কিংবা হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যান। স্থানীয় লোকজন এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন,‘ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন