২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে সাজা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:০৯ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার ৮ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালত।

বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন ।

ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের দুদুকে পিপি মজিবুর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের নাম দেখিয়ে ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে ব্যাংকটির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা করেন। এদের মধ্যে দুই জন মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যান। মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাশার।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার সাবেক অফিসার ক্যাশ অমল চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক অফিসার ক্যাশ এম এইচ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক অফিসার ক্যাশ মো. মুনছুরুল হক, সাবেক অফিসার ক্যাশ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, সাবেক অফিসার ক্যাশ গোলাম মোহাম্মদ মুন্সী, সাবেক অফিসার ক্যাশ দিলীপ কুমার মন্ডল, সাবেক হেড ক্যাশ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী খন্দকার এবং শওকত হোসেন মোল্লা।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামি হেড ক্যাশ অফিসার শওকত হোসেন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও আত্মসাতকৃত টাকার সমপরিমান জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

বাকি সাতজনের প্রত্যেককে সর্বমোট ১৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড একই সাথে ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শওকত হোসেন মোল্লা ছাড়া বাকিরা উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন