২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

দুবাইয়ের ড্যান্সবারে নারী পাচার ‘গডফাদার’ গ্রেপ্তার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩১ অপরাহ্ণ, ১২ জুলাই ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আজম খান নামের আর একজন গডফাদার দুবাইয়ে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে সহস্রাধিক মেয়েদের দুবাইয়ে নিয়ে যৌনকর্মে বাধ্য করায় আজম খান নামে এক ব্যক্তি অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ রোববার সিআইডির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থার অপরাধ দমন বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ।

সিআইডি বলছে, আজম খান একজন গডফাদার। দুবাইয়ের চার তারকাযুক্ত তিনটি ও তিন তারকাবিশিষ্ট একটি হোটেলের মালিক তিনি। তাদের হোটেলে কাজ দেওয়ার কথা বলে সারা দেশ থেকে দালালের মাধ্যমে নারীদের সংগ্রহ করতেন তিনি। একেকজনকে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা বলে নারীদের পাচার করা হয়। পরে সেখানে নিয়ে জোর করে ড্যান্সবার ও যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো। এ কাজে আজম খানকে সহযোগিতা করত একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও বিদেশি কিছু বিমান সংস্থা।

সিআইডি আরও জানায়, সম্প্রতি দুবাই পুলিশ আজম খানের ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসে জানায়। দেশটি তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। একটি এক্সিট পাস নিয়ে আজম বাংলাদেশে এসে আত্মগোপনে যান। দেশে ছয়টি হত্যা মামলাসহ এই আজম খানের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি। তিনি ছাড়াও এ কাজে দুবাইয়ে তার সঙ্গে আরও দুই ভাই যুক্ত ছিলেন।

সিআইডি আজম খানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার অপর দুই সহযোগী হলেন- আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়ামন্ড ও আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়না।

দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট রেখে আজম খানকে দেশে পাঠায়। দেশে ফিরে কী করে তিনি পালিয়ে গেলেন? এমন প্রশ্নে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘একজন আসামিকে পাঠানো হচ্ছে, সে সম্পর্কে পুলিশ অবহিত ছিল না। এই সুযোগে আজম খান নতুন পাসপোর্ট করে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।’

এ ঘটনায় ২ জুলাই সিআইডি বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেছে। পাচারের শিকার নারীরা জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে কবে কোথা থেকে আজম খানকে ধরা হয়েছে, সে তথ্য সাংবাদিকদের জানায়নি সিআইডি।

অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সি, বিদেশি এয়ার লাইনস ও গ্রেপ্তারের তথ্য পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন