২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

দুর্নীতিবাজ ১০ এমপির অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২৮ অপরাহ্ণ, ২৮ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বর্তমান ১০ ও সাবেক ১১ জনসহ ২১ এমপির অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিদেশে অর্থ পাচারের মতো দুর্নীতি ছাড়াও ক্যাসিনোকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে টিআইবি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখলেও দুদক আইনজীবী বলছেন, এমপিদের দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলন প্রমাণিত হলে অন্তত সাত বছরের সাজার পাশাপাশি খোয়াতে হবে পদ। সূত্র: সময় টিভি।

গত বছর দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সময় প্রভাবশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে প্রায় ২০০ জনের তালিকা করে দুদক। এ তালিকায় আছেন বর্তমান সংসদের ৫ জন সংসদ সদস্য। এছাড়া দুদকের নজরদারিতে থাকা সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরকারি অর্থ আত্মসাত, খাস পুকুর ইজারায় দুর্নীতি, সারের ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, স্কুল কলেজে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক অনিয়মসহ ২৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে।

বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ আর ১০ থেকে ২০ শতাংশ ঘুষ নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ অনুসন্ধানের শুরুতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের এক সংসদ সদস্যের অবৈধ সম্পদ খতিয়ে দেখতে আগামী ৩ নভেম্বর সকল নথিপত্র তলব করেছে সংস্থাটি।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের জালে বর্তমানে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, বরিশালের পঙ্কজ দেবনাথ এবং ভোলার আরও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

বর্তমান এমপিদের পাশাপাশি সম্প্রতি আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্ব থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান করছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলন প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন সাত বছর এবং সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তি, বাতিল হবে সংসদ সদস্যপদ।

প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পদক্ষেপ নিতে দুদকের যে ঘাটতি তা দূর করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে টিআইবি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দেখা যায় না। যদি এট করা হয়; তাহলে সেটা দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখানো হবে।

এরইমধ্যে ঢাকা ও চাঁদপুরের দুই বর্তমান সংসদ সদস্য এবং পিরোজপুরের সাবেক এমপি একেএম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন