২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে ছাত্রলীগ সভাপতি জয়ের জন্মদিন পালন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:০০ পূর্বাহ্ণ, ০১ নভেম্বর ২০২০

আরিফ আহমেদ মুন্না দেশব্যাপী নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের ২৮তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে ছাত্রলীগ। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্মভূমি বাবুগঞ্জ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেক কাটা, কোরআন খানি, মিলাদ-মাহফিল, এতিমখানায় খাবার বিতরণ ও বিভিন্ন মসজিদে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আল-নাহিয়ান খান জয়ের দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনায় শুক্রবার বাদ জুম্মা বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবিদ আল সাকিবের উদ্যোগে বাহেরচর বাঁশতলা জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বাদ আসর ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম সিফাতের উদ্যোগে মাধবপাশা জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও মানিককাঠী এবং আগরপুরে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এদিকে শুক্রবার রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মহিউদ্দীন অনির নেতৃত্বে জুম্মার নামাজের পরে জয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জন্মদিনের কেক কেটে দুপুর ২টায় দারুল উলুম মহিউস্ সুন্নাহ কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এতিম শিশুদের নিয়ে দোয়া-মোনাজাত শেষে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আল-নাহিয়ান খান জয়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, মিষ্টি বিতরণ, মিলাদ-মাহফিল, কোরআন খানি, কাঙ্গালি ভোজ, এতিমখানায় খাবার পরিবেশন ও দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের (সাবেক আগরপুর) ঠাকুরমল্লিক গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সমাজসেবক আবদুল আলীম খান ও নার্গিস খান দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান জয় বরিশাল জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। পারিবারিক আদর্শে শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধুকে লালন করা জয় স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকা কমার্স কলেজে ভর্তি হন জয়। স্কুল ও কলেজে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করতে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে নিজের মেধা ও দক্ষতার বলে বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন জয়।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীকালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ লাভ করেন তিনি। ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলনে সিনিয়র সহ-সভাপতি থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সর্বশেষ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি নির্বাচিত হন।

দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা হয়েও সাধারণ জীবনযাপন, সদালাপী, সেবাধর্মী, মহানুভবতা ও বিনয়ী আচরণ তাকে সারাদেশের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে অনন্য অবস্থানে নিয়ে যায়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে শুরু থেকেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নামেন আল-নাহিয়ান খান জয়।

লিফলেট ও মাইকিংসহ করোনা মোকাবেলায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই ও বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও দরিদ্র-অসহায় হাজার হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি। এছাড়াও জয়ের নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দেশব্যাপী করোনায় মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফন দিয়ে সারাদেশে মানবিকতার অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ছাত্রলীগ। বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান আল-নাহিয়ান খান জয়ের নেতৃত্বেই গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হারানো ঐতিহ্য আজ পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে মনে করেন সবাই।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন