২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

দ্রুতগতিতে চলছে ভোলার সাত মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:২৪ অপরাহ্ণ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ভোলা:: ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া জেলা শহরের জন্য ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শীঘ্র্রই শুরু করা হবে। ১৭০ ফিট বাই ১১০ ফিট স্থানের ওপর মসজিদগুলো নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। এর মধ্যে উপক’লীয় এলাকার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাসন ও মনপুরার মসজিদগুলো হচ্ছে ৪তলা বিশিষ্ট ও সদর, দৌলতখান, লালমোহন এবং তজুমদ্দিনের মসজিদ হচ্ছে ৩ তলা বিশিষ্ট।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে এসব কাজের সহযোগিতায় রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রত্যেকটি মসজিদে পুরুষ, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের আলাদা আলাদা ঘর, ইসলামিক রিসার্চ এন্ড অটিজম কেন্দ্র, ইসলামিক বুক সেলফ, ইমাম ট্রের্নিং সেন্টারসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন বাসস’কে বলেন, সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট এলাকায় ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে এটি নামাজ পড়ার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। দৌলতখান উপজেলায় ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকায় মসজিদের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। এটার অগ্রগতি ৩৫ ভাগ। ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন উপজেলায় মসজিদ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে ৭৫ ভাগ। বর্তমানে এখানে প্লাস্টার, টাইলসের কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, বোরহানউদ্দিনে ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ হয়েছে ২৫ ভাগ। আগামী সপ্তাহে এর প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। লালমোহন উপজেলায় ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যে মসজিদের নিচতলার কলাম ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ছাদের সেন্টারিং’র কাজ চলছে। এর কাজের অগ্রগতি ২৫ ভাগ। ১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে চরফ্যসনের মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ১৫ ভাগ এবং মনপুরায় ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় মসজিদের কাজ হয়েছে ২০ ভাগ।

জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এসব মসজিদের প্রথম তলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের ঘর, মরদেহ গোসল ঘর, পানি সংরক্ষণ ঘর, গার্ড রুম, ইসলামিক বুক সেলফসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকছে। দ্বিতীয় তলায় প্রধান নামাজের স্থান, অফিস কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ এন্ড অটিজম কেন্দ্র, মিটিং রুম থাকছে। তৃতীয় তলায় ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ ঘর, গেস্ট রুম, ইসলামিক গ্রন্থাগার, টয়লেট জোন ও স্টাফদের রুম রয়েছে।

কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ আরও জানান, জেলা শহরের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ কাজের টেন্ডার পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ শেষ করার জন্য। কাজের গূণগত মান শতভাগ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা গণপূর্তের প্রধান এ কর্মকর্তা।

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় গোড়ামী, অপব্যাখ্যা রোধ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে এসব মসজিদ। একইসাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামিক ভাবধারা উজ্জিবীত করতে সহায়তা করবে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তাই মসজিদ নির্মাণ সরকারের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন