২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ধারদেনা করে নিতে হয়েছে উপহারের ঘর: টাকা দিয়েও পাননি অনেকে

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৪ অপরাহ্ণ, ০১ এপ্রিল ২০২৩

ধারদেনা করে নিতে হয়েছে উপহারের ঘর: টাকা দিয়েও পাননি অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: প্রায় ২২ বছর ধরে খাস জমিতে বসবাস করেছেন ভূমিহীন এত্তার আলী-আকলিমা দম্পতি। গ্রামে গ্রামে চুড়ি বিক্রি ও গরু-ছাগল পালন করে এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন আকলিমা বেগম গুধি (৬০)। মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে নিয়ে সংসার চালান তিনি।

এর মধ্যেই হঠাৎ করে জানতে পারেন তার থাকার সরকারি খাস জায়গায় নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।

তাই তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানেই নির্মাণ করা হয় ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। উচ্ছেদের সময় আকলিমা বেগম গুধিকে সেখানেই ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা ইউপি সদস্য। কিন্তু ঘর নির্মাণের পর জনপ্রতিনিধিদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে গুধিকে দিতে হবে টাকা।

এরপর উপহারের ঘর পেতে আকলিমা বেগম গুধি আশপাশের মানুষজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে কয়েক দফায় প্রায় ২৬ হাজার টাকা দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুট্টু ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আজিনুর বেগমকে। এরপরে বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ঘর।

তাই উচ্ছেদের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে মেয়ের বাড়ির সামনের গলিতে আশ্রয় নিয়েছেন আকলিমা। সেখানেই চারিদিকে টিন দিয়ে ঘিরে বসবাস করছেন তারা। বারবার ইউপি চেয়ারম্যান, মহিলা ইউপি সদস্য, ইউএনও’র কাছে ঘুরেও ঘর মেলেনি।

তার থাকা সরকারি খাস জায়গায় নির্মাণ হওয়া ঘরে বসবাস করছে অন্য একটি পরিবার। এদিকে ঘরের জন্য আকলিমা বেগম চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে পড়েছেন বিপদে। এখন ঘর না পেয়ে চোখের পানি ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই তার।

শুধু আকলিমা বেগমই নন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পুরাতন বাড়ইপাড়া চুড়িয়ালী মোড়ে এমন অনেকের কাছেই বিভিন্ন পরিমাণে টাকা নেওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ঘর পেয়েছে এমন অনেক পরিবারের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।

এছাড়াও প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, ঘরের মেঝেতে মাটি ভরাট করে দেওয়ার কথা থাকলেও সুবিধাভোগী পরিবারগুলোকে দিয়েই তা করানো হয়েছে।

আকলিমা বেগম গুধি বলেন, আমার জায়গা-জমি কিছুই নেই। তাই এখানে এসে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস শুরু করি। পরে চেয়ারম্যান-মহিলা মেম্বার এখান থেকে আমাদেরকে উঠিয়ে নতুন ঘর দেওয়ার কথা বলেন।

এর বিনিময়ে টাকা চাইলে আশপাশের মানুষের কাছ থেকে সুদের ওপর ধার নিয়ে মহিলা ইউপি সদস্য আজিনুরকে একবার ৫ হাজার ও পরে ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এর আগে চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুট্টুকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঘর দেব বলে দফায় দফায় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরে জমি রেজিস্ট্রি করা বাবদ আবারও দুইবার টাকা নিয়েছে। বাড়িতে থাকা দুইটা পাতিহাঁস নিয়ে গেছে পিকনিক করার কথা বলে। এমনকি পিকনিক করার কথা বলে একটি রাজহাঁস দাবি করে।

পরে টাকা ধার করে ১১০০ টাকায় একটি রাজহাঁস কিনে চেয়ারম্যানকে দিয়ে আসি। টাকা দেওয়ার পরে বারবার চেয়ারম্যান-মহিলা মেম্বারের কাছে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাইনি। ঘর তো দেয়নি, এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েও সমাধান পাইনি।

আকলিমার মেয়ে মুনচেহারা বেগম জানান, বাবা-মা সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করতো। সেখানে উপহারের ঘর তৈরির জন্য তাদের তুলে দেয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান টাকা দিলে ঘর দেওয়া হবে বলে জানায়।

পরে মা-বাবাকে মাথা গোঁজার মতো একটু জায়গা করে আমাদের গলিতে টিন দিয়ে ঘিরে বসবাস করতে দিয়েছি। বারবার টাকা নিয়েও ঘর না পেয়ে মা রাস্তা রাস্তায় কেঁদে বেড়াচ্ছে। তাও তাদের কোনো দয়া হয়নি।

আরেক গৃহহীন নারী ফুলন বেগম জানান, আমরা ভূমিহীন। কোনো জায়গা জমি নেই। তাই অনেক গর্ত থাকা চুড়িয়ালী মোড়ের এই সরকারি খাস জমিটি ভরাট করে বসবাস করছিলাম।

পরে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ শুরু হলে আমাদেরকে বলে ঘর কিনে নিতে হবে। তা শুনে কান্নাকাটি করে বেড়াতাম। কারণ এতো টাকা কোথায় পাব? আর টাকা না দিলে ঘরও পাব না।

তাই উপায় না পেয়ে বাড়িতে থাকা সকল ছাগল হাঁস মুরগি বিক্রি করে ও ধারদেনা করে মোট ৫০ হাজার টাকা আরজেদ আলী ভুট্টু চেয়ারম্যানকে দেওয়ার পর ঘরে উঠতে দিয়েছে। এখন সেই ঘরেই বসবাস করছি।

দিনমজুর আনারুল ইসলাম আনা চুড়িয়ালী মোড়ে একটি উপহারের ঘর পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘরে বসবাস করতে পারছেন না তিনি। ঘরে উঠতে গিয়ে ধারদেনা করে দেওয়া টাকা শোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন তিনি। সেই ঘরে বসবাস করছেন তার মেয়ে নিলুফা খাতুন।

নিলুফা বলেন, এখানেই বাড়ি ছিল বাবা-মার। সেই বাড়ি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে আমার বাবাকে। কিন্তু ভুট্টু চেয়ারম্যানকে এর বিনিময়ে দিতে হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা। তাই বাধ্য হয়েই ঘর ছেড়ে ঢাকায় কাজ করছে বাবা-মা। টাকা শোধ হলে বাড়িতে ফিরবে।

একই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ এর ঘর পেয়েছেন আলিম উদ্দিন-সাবানা খাতুন দম্পতি। জমি আছে ঘর নাই, এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ঘর তৈরিতে সকল অর্থ সরকারি বরাদ্দ থেকে হওয়ার কথা থাকলেও তাদের ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান সাবানা খাতুন।

তিনি জানান, এই ঘর তৈরি করে দিতে আজিনুর বেগম মহিলা মেম্বারকে ৬৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এমনকি ঘরের ভেতর ভরাটও করতে হয়েছে নিজের টাকা ব্যয় করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কীটনাশকের দোকানদার মাসুদ রানা বাবু জানান, এলাকায় অনেকের কাছেই টাকা নেওয়ার কথা শুনেছি। ৩০-৪০ হাজার করে টাকা নিয়ে ঘর দেওয়া হয়েছে বলে জানি। এমনকি অনেককে টাকা দিয়েও ঘর দেওয়া হয়নি।

যাদেরকে ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে, তাদেরকে ঘরও দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। ভুট্টু চেয়ারম্যান দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে টাকাগুলো নিয়েছে, কিন্তু এখন তো আর তার ঘর দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নাই। উপহারের ঘরগুলো সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা টাকা নিয়ে এমন কাজ করছে।

টাকা দিয়েও ঘর পাননি মো. জলিল। তিনি বলেন, বাদ কেউই নেই। কম বেশি সবার কাছেই টাকা নিয়েছে। এদের মধ্যে কেউ পেয়েছে, আবার অনেকে পায়নি।

ঘর পেয়েছে এমন ব্যক্তিদের কাছে সবার কাছেই কম বেশি টাকা নিয়েছে। হয়ত অনেকেই ম্যানেজ করে দিয়েছে, আবার অনেকে বেশি টাকা দিতে পারেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ইসরাফিলের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর জানান, ঘর দেয়া বাবদ ২০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে ভুট্টু চেয়ারম্যান। যে যেখানে বসবাস করতো, তাকে সেখানেই ঘর দিয়েছে টাকার বিনিময়ে। তবে বাইরের অনেক লোকের কাছে টাকা নিলেও ঘর দেয়া হয়নি। কোথায় দিবে নাকি দিবে না তার সীধান্তও হয়নি।

প্রতিবন্ধী ছেলের জমানো টাকা দিয়েও ঘর পায়নি আমেনা বেগম। তিনি বলেন, জায়গা-জমি কিছুই নাই আমাদের। পরের জায়গায় বসবাস করি।

প্রতিবন্ধী ছেলের জমানো টাকা দিয়ে তিন দফায় ১৮ হাজার টাকা দিয়েছি ভুট্টু চেয়ারম্যানকে। রেজিস্ট্রি করার কথা বলে আরও এক হাজার টাকা নিয়েছে। চেয়ারম্যানের বাড়িতে অনেকবার ঘুরলেও প্রতিবার তিনি বলেছেন, চুড়িয়ালী মোড়েই ঘর পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘর পাইনি।

চুড়িয়ালী মোড়ের দিনমজুর মো. ইসমাইল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ঘর নেওয়ার জন্য ভুট্টু চেয়ারম্যানকে দুই জন সাক্ষীসহ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে নির্বাচন এলে তার (সাবেক চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুট্টু) পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছি।

সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখনও ঘর পাইনি। সবার মতো আমাকেও রেজিস্ট্রি দিয়েছে। কিন্তু ঘর পাইনি। কোথায় আমার ঘর তাও জানি না।

তাজেমুল ইসলামের স্ত্রী নূর নাহার বেগম বলেন, বাড়ি তৈরি হয় তখন বাড়ির মিস্ত্রীদের কাছে শুনলাম টাকা না হলে ঘর পাওয়া যাবে না। পরে চেয়ারম্যানকে বললাম, আমি গরিব মানুষ, টাকা দিতে পারব না। তাতেও রাজি না হওয়ায় ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর ঘর পেয়েছি এবং এখন বসবাস করছি।

দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আজিনুর বেগম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘর নেওয়া বাবদ আমাকে কেউ কোন টাকা-পয়সা দেয়নি। ঘর প্রদানের আগে চেয়ারম্যান বলেছিল, তোমার ওয়ার্ডের ঘর পাবে এমন ব্যক্তিদের তালিকা দাও।

সেই সুবাদে চেয়ারম্যানকে তালিকা দেই। পরে ঘর রেজিস্ট্রি হওয়ার সময়ে তাদের (সুবিধাভোগী) সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করেছিলাম। টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলেই তো হবে না, এর পক্ষে সাক্ষী প্রমাণ দেখাতে হবে। তবে আমার দায়িত্বে থাকা পাঁচটি ঘরের লোকজন রেজিস্ট্রি পেলেও ঘরে উঠতে পারেনি।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুট্টুও। তিনি বলেন, চুড়িয়ালী মোড়ের সরকারি খাস জায়গায় মোট ১৭টি বাড়ি ছিল। পরে সেসব ঘর ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৯টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়।

শুরুর দিকে বাড়ি তৈরির সময়ে আমি ছিলাম। কিন্তু বাড়ির কাজ শেষ হওয়ার পর বরাদ্দ দেওয়ার সময়ে, নির্বাচন চলে আসে এবং আমার পা ভেঙে যায়। যার কারণে শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, পা ভেঙে বিছানায় শয্যাশায়ী থাকায় আমি কিছুই জানি না। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য বলতে পারেন।

কিন্তু টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। এমনকি পরে আরও ৫০টি বাড়ি তৈরি ও হস্তান্তর করা হয়। এসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. কাউছার আলম সরকার।

ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহনাজ খাতুন বলেন, ভোলাহাটে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিজেই এই প্রকল্পের ঠিকাদার।

তিনি (পিআইও) সরকারের উপহারের এসব ঘরের টিন দিয়েছেন ৩৩ মিলিমিটার। অথচ তা ৩৬ মিলিমিটার হওয়ার কথা ছিল। তিনি সরাসরি কোম্পানি থেকে অর্ডার দিয়ে ৩৬ মিলিমিটারকে ৩৩ মিলিমিটার করে নিয়েছেন। আরএফএল-এর দরজা সরাসরি কোম্পানি থেকে নিয়েছেন পিআইও মো. কাউছার আলম সরকার।

ঘর প্রদানে টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, টাকা আদান প্রদানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তা জানি না। তবে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পিআইও এর সঙ্গে জড়িত তা আমি হলফ করে বলতে পারি। পিআইও কাউসার আলম সরকারের চাপেই স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মহিলা ইউপি সদস্যরা টাকা লেনদেন করেছেন। তার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সাবেক ও কর্মকর্তারাও জড়িত।

আমি চাই সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এসব কর্মকর্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুম। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না। জেলা প্রশাসক স্যার এ বিষয়ে কথা বলবেন।

মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের টাকা নেওয়ার বিষয়ে বলেন, অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুট্টুর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চতুর্থ ধাপে ২৩০ পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগে জেলার ৪ হাজার ৮১৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ২ শতক জমির মালিকানাসহ টিনশেড পাকা ঘর পেয়েছেন।

এর মধ্যে ভোলাহাট উপজেলায় ঘর পেয়েছেন ১ হাজার ১২২ পরিবার। জানা যায়, হালনাগাদকৃত চলমান তালিকা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ভূমিহীনমুক্ত হলেও এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে কোনো ভূমিহীন পাওয়া যায় দ্রুততম সময়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন