২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

নকল সোনায় পণ্ড বিয়ে, বরযাত্রী জিম্মি ৬ ঘণ্টা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৪ অপরাহ্ণ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় ছিল না ঘাটতি। শুক্রবার ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের পাড়াগ্রামে চার শতাধিক অতিথির উপস্থিতিতে চলছিল এক কলেজ শিক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন। পাত্র স্কুল শিক্ষক। বরযাত্রীসহ সকলের খাওয়া দাওয়া শেষে ৫ লাখ টাকা মোহরানায় বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়। কিন্তু বউ সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বাধে বিপত্তি। বরপক্ষের আনা স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে একটি টায়রা নকল বলে শনাক্ত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে তর্কে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বরসহ ২৫ বরযাত্রীকে। শেষমেষ নগদ এক লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে গভীর রাতে মুক্তি মেলে তাদের। তবে ‘খোলা তালাকের’ শর্তে নতুন বৌ ছাড়াই তারা ফেরেন শূন্য হাতে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাভার আশুলিয়ার ইয়াপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে স্কুল শিক্ষক শাকিল হোসেন শুক্রবার বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ধামরাইয়ের পাড়াগ্রামে। সেখানে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের কথা চুড়ান্ত হয়েছিল পারিবারিকভাবেই। ২৫ বরযাত্রী নিয়ে শুক্রবার বিকেলে কনের বাড়িতে হাজির হন বরপক্ষ। খাওয়া দাওয়া শেষে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়। দুই পক্ষের আলোচনা মোতাবেক বিয়ে পড়ানোর মুর্হুতে বরপক্ষ কনের জন্য স্বর্ণের গলার হার, কানের দুল ও মাথার টায়রা তুলে দেন। কিন্তু মাথার টায়রা স্বর্ণের নয় বলে সন্দেহ করেন কনেপক্ষ। তর্কের জেরে পাশের বাজারে জুয়েলারিতে নিয়ে তা পরীক্ষা করা হয়। নকল স্বর্ণের গহনা দেয়ায় বরপক্ষকে প্রতারকসহ নানা গালিগালাজ করা হয়। এ অবস্থায় বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে কনেপক্ষের লোকজন বিয়ের খরচ হিসেবে ৪ লাখ টাকা ও কাবিনের জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তারা বরপক্ষকে আটকে রেখে রাত ১১টার মধ্যে অন্তত বিয়ের খরচ বাবদ ২ লাখ টাকা ও সোয়া দুই ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার রেখে মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে থাকেন। শেষমেষ নগদ ১ লাখ টাকা ও দুই ভরি ওজনের র্স্বণের গহনা রেখে মুক্তি পান বরপক্ষ।

বরের চাচা আব্দুর রহমান বলেন,’ কনের জন্য টায়রা দেয়ার কথা ছিলনা। তবু দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা যে নকল তা আমরা কেউ জানিনা। আমাদের একটু ভুলে কনের পরিবারের লোকজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলাম। টানা ৬ ঘন্টা আটক থাকায় ভয় পেয়েছিলাম যে আমাদের মারপিট করে কিনা। পরে সাথে থাকা স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছি।’

এ বিষয়ে কনের খালু আরফান আলী বলেন, ‘আগে থেকেই এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না। বরের লোকজন প্রতারক। তাদের আটকিয়ে খরচ বাবদ নগদ এক লাখ টাকা, স্বর্ণের দুল ও চেইন রেখে দিয়েছি। জরিমানার বাকি এক লাখ টাকা সোমবার পৌছে দেবে। আর বিয়ের বিষয়ে খোলা তালাকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন