২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

নদীতীর ঘেঁষে মাটি কর্তন, হুমকিতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, ২৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা >> পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনটকি এলাকায় প্রমত্তা বিষখালী নদীর তীর ঘেঁষে ছয়টি ইটভাটা রয়েছে। ইট তৈরির মৌসুম শুরুর আগেই বরগুনার পাথরঘাটার প্রমত্তা বিষখালী নদীর চর ও তীরের মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের খুব কাছ থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধ। এভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষিজমিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনটকি এলাকায় প্রমত্তা বিষখালী নদীর তীর ঘেঁষে ছয়টি ইটভাটা রয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট তৈরির জন্য ভাটামালিকেরা চর ও নদীর তীর থেকে মাটি কাটা শুরু করেছেন। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের খুব কাছ থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর ইট তৈরির মৌসুম শুরু হলে ইটভাটাগুলোর মালিকেরা শ্রমিক দিয়ে নদীর চর ও তীর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যান। কিন্তু এ বছর মৌসুম শুরুর আগেই মাটি কাটা শুরু হয়েছে। এতে করে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নদীর তীরবর্তী আরএসবি ব্রিকসের মালিক গোলাম মোস্তফা কিসলু বলেন, যে জায়গার মাটি কাটা হচ্ছে, সেই জায়গা তাঁর রেকর্ড করা সম্পত্তি। এখানে নদীর কোনো জমি নেই। নদীর তীরের মাটি কাটার তথ্য সত্য নয়।

ওই এলাকার আল মামুন এন্টারপ্রাইজ ব্রিকসের মালিক ও বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনও দাবি করেন তাঁর নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। নদী বা সরকারি কোনো জমি সেখানে নেই বলে তিনি দাবি করেন।

জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলায় প্রায় ৫০টির মতো ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ইটভাটার ইট তৈরির অনুমতিপত্র নেই। তবে যেসব ইটভাটার অনুমতিপত্র আছে, তারা সরকারি নিয়ম-নীতি মেনেই ইট তৈরি করছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএর বরগুনা নদীবন্দরের কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, বাইনচটকি এলাকা থেকে কালির চর পর্যন্ত ছয়টি ইটভাটা রয়েছে। নদীতে চর জেগে উঠলেই ভাটার মালিকেরা চর দখল করে নেন। এতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, নদীর চর ও তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। যদি নদীর তীর থেকে মাটি কাটা হয় এবং চর দখল করে ইটভাটা গড়ে তোলা কারণে যদি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়, তাহলে ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন