২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

নলছিটি পৌরসভার নগর উন্নয়নের ৭ নথি গায়েব, দুই মাসেও মেলেনি হদিস

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:০৫ অপরাহ্ণ, ০৯ নভেম্বর ২০২১

নলছিটি পৌরসভার নগর উন্নয়নের ৭ নথি গায়েব, দুই মাসেও মেলেনি হদিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, নলছিটি >> ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থ বছরের নগর উন্নয়নের ৭টি (১-৭) নথি (ফাইল) ও পরিমাপ বই (এমবি) গায়েব বা খোয়া যাওয়ায় দুই মাস পার হলেও হদিস মেলেনি। পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না রাখতেই অফিসের গুরুত্বপূর্ণ এ নথিগুলো গায়েব করা হয়েছে। ঘটনাটি নজিরবিহীন বলে মনে করছেন তারা।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. কামাল হোসেন পৌরসভার মেয়র ও সচিবের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন।

এরআগে গত ২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়। তদন্তের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে গত ৯ সেপ্টেম্বর নথিগুলো হারানোর ঘটনায় পৌরসভা সচিব আবু হেনা মােহাম্মদ রাশেদ ইকবাল নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই নলছিটি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন ক্যাশিয়ার রেখা বেগম। এর পরদিন (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নলছিটি হিসাব রক্ষকের কাছে রক্ষিত সকল নথিপত্র অনুসন্ধান করে ২০২১-২২ অর্থ বছরের নগর উন্নয়নের ১ থেকে ৭ নম্বর নথি ও পরিমাপ বই, একই অর্থ বছরের মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই এবং ১টি পুরাতন রেজুলেশন বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। নথিগুলাে খােঁজাখুঁজি করা হচ্ছে। পাওয়া গেলে থানায় অবহিত করা হবে।’

ওই জিডির ১৭ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর একই থানায় তিনি আরেকটি জিডি করেন। ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘অনেক খােঁজাখুঁজির পরে আগের জিডিতে উল্লেখিত ফাইলগুলাের মধ্যে শুধুমাত্র মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই পাওয়া গেছে।’

কিন্তু প্রথম জিডিতে উল্লেখ্য বাকি ৭টি নথি, পরিমাপ বই ও ১টি রেজুলেশন বইয়ের এখনো সন্ধান পায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব আবু হেনা মােহাম্মদ রাশেদ ইকবাল বলেন, ওই নথিগুলো অফিসে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে অফিস থেকে কিভাবে নগর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো হারিয়ে গেল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন