২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়ালেন এসআই!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

কোমল পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নিজেরই অধস্তন কনস্টেবলকে খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন।

তার পরেও সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে সরগরম ভারতের মুম্বাইয়ের পুলিশ মহল। অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর অমিত শেলার-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

মুম্বাই পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অজয় কদম বলেন, কামোঠে এলাকায় অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), এবং ৩২৮ ধারায় (বিষাক্ত কিছু দিয়ে ক্ষতি করা) মামলা করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতিতা তফসিলি সম্প্রদায়ের হওয়ায় পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ধারাও যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কদম।

অভিযোগ পত্রে ৩১ বছর বয়সী ওই নারী কনস্টেবল জানান, ২০১৭ সালে একটি মামলার তদন্তের কথা বলে অভিযুক্ত অমিত শেলার আমাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান। ওই গাড়ির মধ্যেই ঠান্ডা পানীয় দেন। সম্ভবত পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু ছিল। এর পর ওই গাড়ির মধ্যেই আমাকে ধর্ষণ করেন। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ওই ভিডিও দেখিয়ে আমাকে আরো কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ করেন অমিত।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা দু’জন একই ব্যাচে নিয়োগ পান। ২০১০ সালে কাজে যোগ দেন। পরে বিভাগীয় পরীক্ষায় পাস করে সাব ইনস্পেক্টরে পদোন্নতি হয় অমিতের। ২০১৭ সালে নবি মুম্বাইয়ের একটি থানায় দু’জনেই একই সঙ্গে কাজের সুবাদে আবারো দু’জনের পরিচয় হয়। ওই নারীর অভিযোগ, গত সাত-আট মাস ধরে অমিত তাকে ধর্ষণ করে আসছেন।

সম্প্রতি নির্যাতিতার বন্ধু-বান্ধবরা ওই ভিডিও ইন্টারনেটে দেখার পর তাকে জানান। তার পর তিনি কার্যত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। পরে বাড়িতে পুরো বিষয়টি জানান। তার মা-বাবার পরামর্শেই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন