১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

নিরব শহর বিস্ময় চাহনি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ, ১০ মে ২০২০

শিব্বির দেওয়ান, অতিথি প্রতিবেদক:: কোলাহলময় যানঝটকৃত বাংলাদেশের প্রতিটি শহর ও নগরে পিনপতন নিরবতা।নেই কর্মময় উৎসবমুখর পরিবেশ। চিরচেনা শহর আজ বড়ই অচেনা।নির্বাক দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দীর দালান কোঠা।আগত ঈদ উৎসব মুখরে কেনাকাটার ধুম পরার কথা। পায়ে হেঁটে চলা হতো দুস্কর। মানুষের পায়চারী ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা দিন রাত বেঁচাকেনার কর্মব্যবস্থা আজ নেই। সর্বত্র হাহাকার। শুধু শহরে দেখা যাচ্ছে- ভবঘুরে ছিন্নমূল মানুষের বিস্ময় চাহনি স্বল্প রিক্সাচালকদের ঘুরাঘুরি। ব্যস্ততম শহরে নিরবতার কোলাহল। চিরচেনা শহর কোলাহলহীন পরিবেশে হারিয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যের জৌলুস। থমকে গেছে কর্মমুখর মানুষ।

বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে হোম কোয়ারাইন্টানে। ফলে থেমে গেছে অর্থনৈতিক চাকা জীবনমান বিপর্যস্ত। উদাসীন মনোভাবে খাদ্যহীন কত সোনা মুখ অশ্রুজলে কাতর কে রাখে কার খবর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব শপিংমল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তক্রমে বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা সংকটকালের সাক্ষী হয়ে ইতিহাসে চির অমর হয়ে থাকবে। ঈদ উৎসবে ও মানুষ বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে ঘরবন্দি থাকবে।

এ যেন বিধিহীন করোনার শিক্ষা। বেঁচে থাকার অভয়ে ঘরে থাকার সু-শিক্ষা। প্রতিটি শহরের মার্কেট জনকোলাহলহীন করোনাকৃত বর্জিত শপিংমল। কেনা-কাটাহীন নিদর্শন। ইতিহাস ঐতিহ্যের শহর রংয়ের নীল দর্পনে বেরংয়ে মলিন। প্যাডেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা শ্রমিকদের করোনা ভয় নেই। ক্ষুধার মরণ জ্বালাই তাদের কাছে করোনা।

তাই তো রিক্সা শ্রমিকেরা মৃত্যু ভয় করে মাক্স ও হ্যান্ড গ্লোভস ছাড়া স্বল্প জনমানবহীন শহরে বয়ে বেড়াচ্ছেন জীবনের ঘানী। প্রশ্ন যখন ‘জীবন অথবা জীবিকা’। তারা বেছে নিয়েছে জীবিকা!

কলাম লেখক।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন