২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

নেটওয়ার্ক ত্রুটিতে আটকে গেছে ৫শ’ শিক্ষকের এমপিও!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভোলা প্রতিনিধি :: এনটিআরসি্এর সুপারিশ পাওয়া ভোলার ৫৪১ জন শিক্ষক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেও অনলাইন সার্ভার নেটওয়ার্ক জটিলতায় মার্চ মাস থেকে এমপিও পাচ্ছেন না। গত সোমবার ছিল উপজেলা থেকে ওইসব শিক্ষকদের আবেদন সুপারিশসহ জেলা শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর শেষদিন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ইএমআইএস সেল এই সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করে। আর সার্ভারে ঠিকাদারি পেয়েছে সেসিপের একজন কর্মকর্তার পছন্দের কোম্পানী। এই সার্ভার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা হয় না।

ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদ হাসান বরিশালটাইমসকে জানান, ওই উপজেলায় একশজন এনটিআরসি’র সুপারিশ পেলেও তারা ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে না পারায় এদের নাম জেলায় প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একই কথা জানান জেলার ৬ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা। ১০ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে অনলাইনে আবেদন করার শেষ সময়ের মধ্যে নেটওয়ার্ক জটিলতা, যোগদান জটিলতার কারণে শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ে এমপিও’র জন্য আবেদন করেত পারেননি। ওই তারিখের পরে যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবেদন গ্রহণ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা। এমন জটিলতার কারণে আগামী মাসে শিক্ষকরা বেতন প্রাপ্তির অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হক বরিশালটাইমসকে জানান, ওপরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকরা মার্চ মাসের এমপিও’র জন্য ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যে আবেদন করবেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তরা যাচাই বাছাই করে তা ১৮ তারিখের মধ্যে জেলায় পাঠাবেন। জেলা থেকে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানোর শেষ তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি। এ নির্দেশনার কারণেই বিলম্বে আবেদনকারীরা মার্চ মাসের এমপিও’র জন্য মনোনীত হতে পারছেন না। তবে এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক মোকসেদুর ইসলাম জানান, সার্ভার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যদি কেউ ১০ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে না পারেন, তাদের ক্ষেত্রে পরেরদিন, বা তার পরেরদিন আবেদনকারীদের আবেদনও গ্রহণ করার জন্য বলা হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনের পর নিবন্ধনকৃত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও শুরুতে এমপিওভুক্ত হতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনলাইনে দেয়া হয় ২৮ জানুয়ারি। ওই সুপারিশপত্র নিয়ে শিক্ষকরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ ও যোগদান করতেই সময় যায় ৮ থেকে ১০ দিন। আবার প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভা না হওয়ার কারণে অনেকেই যথাসময়ে যোগদানই করতে পারেননি। এ অবস্থায় এমপিও জন্য বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে গিয়েও বিপাকে পরেন শিক্ষকরা।

১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে নেটওয়ার্ক জটিলতায় আবেদনই সম্পন্ন করা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র আবেদন করেছেন। অন্যরা একদিন বা দু’দিন পরে আবেদন করেন।

তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বরিশালটাইমসকে জানান, মন্ত্রণালয় বা উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে নির্দেশ পেলে তারা বিলম্বিত আবেদন গ্রহণ করবেন।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন