১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পটুয়াখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, স্ত্রী-কন্যাসহ আহত ১০

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, ১৮ মার্চ ২০১৯

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান লিকনের বাসায় নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ হামলার ঘটনায় নারী কর্মীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা স্ত্রী মোসা. রোজানুর বেগম ও তার মেয়ে রোজানকেও মারধর করে বলে জানান বিদ্রোহী প্রার্থী লিকন।

রোববার রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী লিকন।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নৌকার প্রার্থী শাহিন শাহর লোকজন প্রথম দফা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন লিকন। এ ঘটনায় উপজেলা শহরের সাধারণ মানুষের মধ্য আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সামসুজ্জামান লিকন অভিযোগ করে বলেন, গলাচিপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নৌকার মনোনীত প্রার্থী শাহিন শাহ‘র লোকজন তার কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে কাউন্সিলর বাশার প্যাদা ও আব্বাস প্যাদার নেতৃত্বে ইলিয়াস প্যাদা, আলামিন প্যাদা, ছাবু প্যাদা, সোহাগ প্যাদা এবং ইয়াবা ফিরোজসহ অন্তত ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তার বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

এ সময় তার বাসায় নারী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে তাদের আহত করা হয়। আহত হয় জুলিয়া, পারভীন, মানছুরা, নুশরাত ও অলি আক্তারসহ অনেকে।

আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী সম্রাটকে (২২) বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা প্রার্থী লিকনের স্ত্রী মোসা. রোজানুর বেগম ও তার মেয়ে রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজনকে মারধর করে বলে দাবি করেন লিকন।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রচার-প্রচারণাকালে চৌরাস্তা ও রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে নারী কর্মীদের ওপর হামলা চালায় একই সন্ত্রাসীরা।

এদিকে হামলা ঘটনার পরপরই রাতে উপজেলা প্রশাসন সব প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা এবং কারো নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা অথবা হামলা করতে নিষেধ করে মাইকিং করে সর্তক করে।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করা হয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, হামলা করতে পারেনি। তার বাসার সামনে কিছু লোকজন অবস্থান করছিল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা চলে যায়।

হামলা ঘটনা অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী শাহিন শাহ বরিশালটাইমসকে জানান, আমি এক সময়ে মন্ত্রীর পিএস ছিলাম। সে কারণে প্রতিটি মানুষের দুয়ারে আমার যাতায়াত এবং সম্পর্ক রয়েছে। দেশে কেমন নির্বাচন হচ্ছে- তা আপনি নিশ্চয়ই জানেন। তিনি (লিকন) নির্বাচনে জয় লাভ না করার আশংকায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এগুলোতে আপনারা কান দিয়েন না।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন