২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পটুয়াখালীতে বেসরকারি হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৪ অপরাহ্ণ, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীতে প্রাইভেট সেন্টার হসপিটালে সন্ত্রাসীদের হামলা-ভাঙচুর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের ডাক্তারকে লাঞ্ছিতের ঘটনাও উল্লেখ করা হয় ওই অভিযোগে। পুলিশ সঙ্গত কারণে এজাহারটি রেকর্ড না করে আলোচনার জন্য রেখেছেন বলে জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

ওই এজাহারে আতিক নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হসপিটালের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম রনি এজাহার দাখিল করনে। এসময় বাদী এজাহারে সাথে সন্ত্রাসী তাণ্ডবের ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করেন। রোববার রাতে এ এজাহার দাখিল করা হলেও সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে রেকর্ড করা হয়নি মামলাটি।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে ৪ থেকে ৫ জন যুবক পটুয়াখালী সেন্টার হসপিটালের ডাক্তার মশিউর রহমানের কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় ওই যুবকরা এক মুমূর্ষু রোগীর অজুহাত দিয়ে ডাক্তারকে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য জোর-জবরদস্তি করেন। ডাক্তার তার কক্ষে অনেক রোগীর ভিড় এমন যুক্তি তুলে ধরে পরে যাওয়ার কথা বলেন। এতে ওই যুবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাসায় গালমন্দ করে চলে যায়।

এর আধা ঘণ্টা পরে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি বাহিনী ক্লিনিকে প্রবেশ করে প্রহরী শাহিন ও সুপারভাইজার নাসিরকে মারধোর করে। এক পর্যায় সন্ত্রাসীরা ওই হসপিটালের কয়েকটি কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

এসময় ডাক্তার মশিউর রহমানের কাছ থেকে ক্লিনিকে দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে ক্লিনিক পক্ষ সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষতি উল্লেখ করে রোববার রাতে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। ওই এজাহারের সাথে ক্লিনিক ভাংচুর, ছিনতাইসহ সকল ভিডিও ধারণ রয়েছে বলে দাবী করেন ক্লিনিক পক্ষ। তবে পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড না করে আলোচনার জন্য সময় নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। তদন্ত করার জন্য লোক পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন