১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পটুয়াখালীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২৭ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পটুয়াখালীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এসব শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই শ্রদ্ধা জানায়।

জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মোট ১২২৭টি। এর মধ্যে ৯৫৩টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। এছাড়া জেলায় মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৯৯টি যার অধিকাংশতেই নেই শহীদ মিনার।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে- সদর উপজেলায় ২০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। দুমকি উপজেলায় ৫৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে ও নেই ২০টিতে। মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টিতে আছে ও ১০৭টিতে নেই। দশমিনা উপজেলায় ১৪৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫টিতে আছে ও ১০০টি বিদ্যালয়ে নেই। গলাচিপা উপজেলায় ১৯৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে ও ১৮১টি বিদ্যালয়ে নেই। বাউফল উপজেলায় ২৩৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে ও ১৩৪টিতে নেই। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে ও ৬৬টিতে বিদ্যালয়ে নেই। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলায় ১৭২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে ও ১৬৩টিতে নেই।

পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুয়াইব শরীফ আহাদ জানায়, তাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই। তাই তারা ফুল দিতে পারে না। এ সম্পর্কে তাদের ধারণাও নেই।

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান জানায়, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবহী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। যদি তাদের স্কুলে একটি শহীদ মিনার থাকতো তাহলে ভালো হতো।

একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পটুয়াখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এটি দুঃখের ব্যাপার। এটি হলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ইতিহাসকে দেখতে পারে, জানতে পারে।

এদিকে শহীদ মিনার থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি এলে শহীদ মিনার পরিষ্কার করা হয়। এর পর আবার অযত্ন আর অবহেলায় সেটি ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।”

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন