২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পটুয়াখালী/ কনকনে শীতে কাঁপছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০১ অপরাহ্ণ, ১২ জানুয়ারি ২০২২

পটুয়াখালী/ কনকনে শীতে কাঁপছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদদক, পটুয়াখালী >> পটুয়াখালীর গলাচিপায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা শোচনীয়। হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি যোগ হওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনভর নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল পরিবারসহ নিম্নআয়ের মানুষ। উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে কনকনে শীতে কাঁপছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বিশেষ করে কৃষকরাও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

উপজেলার চরাঞ্চলসহ উপকূলবর্তী এলাকার অভাবী মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কেউ পাশে দাঁড়াচ্ছে না।

উপকূলীয় চর কারফারমা, চর বিশ্বাস, চর কাজল, চর শিবা তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার হতদরিদ্র লোকজন। সহায়-সম্বলহীন মানুষ শীতে অনেকটা অসহায়ও হয়ে পড়েছেন। গরম কাপড়ের অভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

শীতের প্রকোপে হাসপাতালে অ্যাজমা, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত তিন দিন দুপুরের দিকে কুয়াশা একটু কমে এলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই আবারও একই অবস্থায় পরিণত হচ্ছে।

অনেকেই গায়ে কাঁথা জড়িয়ে ও খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় শীত নিবারণ চেষ্টা করছেন। শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কাবু হয়ে পড়েছেন। ক্ষেত মজুর ও জেলে শ্রমিকদের কাজে বের হতে দেখা যায়নি।

চর কারফারমা গ্রামের খেতমজুর আনোয়ার হাওলাদার জানায়, আসরের পরেই ঘরে ফিরতে হয়। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পরে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খর-কুটা জ্বালাইয়া শীত নিবারণ করতে হয়। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, গলাচিপায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে কনকনে শীতে কাঁপছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। যথারীতি শীতবস্ত্র নিয়ে তাদের পার্শে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি, সরকারি কম্বল পর্যাপ্ত পরিমাণে আসছে সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে কম্বল পৌঁছিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য সমাজে বৃত্তবানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন