২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

পদযাত্রায় বাধা দেয়ায় শিক্ষকরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৩ অপরাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবারও প্রেসক্লাবের সামনে আগের জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি পালনে বসেছেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, আমরা দুপুর সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করি। জাতীয় ঈদগাহের সামনে গেলে পুলিশ আমাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়। ফলে আমাদের শিক্ষকরা ঈদগাহের সামনে কিছুক্ষণ বসে প্রতিবাদ চালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় এসে বসি।

তিনি আরও বলেন, পদযাত্রায় বাধা দেয়ায় শিক্ষকরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। বিকেল পাঁচটায় পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান মাহমুদুন্নবী ডলার।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমরণ অনশন পালনের ঘোষণা দেয়া হলেও এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে তারা পদযাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নীতিমালার অসংঙ্গতি ও বৈষম্যসহ সার্বিক সকল বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তারা।

বৈষম্যপূর্ণ এমপিও নীতিমালা সংশোধন, স্তরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করার দাবিতে গত তিনদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের পাশে ফুটপাতে বসে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও সম্মতি দেয়া হয়েছে। এ বছর মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২ হাজার সাতশরও কিছু বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারে। যেকোনো সময় এমপিওভুক্তির এই তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।

এমপিওভুক্ত হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মাসে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান। বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন