১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পবিপ্রবি’র বাবুগঞ্জ ক্যাম্পাসে মহিষের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫২ অপরাহ্ণ, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

পবিপ্রবি’র বাবুগঞ্জ ক্যাম্পাসে মহিষের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা

আরিফ আহমেদ মুন্না দেশের উপকূলীয় এলাকায় মহিষের বিপণন ঝুঁকি ও ভ্যালুচেইন বিশ্লেষন গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে লাভজনক খামারে রুপান্তর বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবুগঞ্জে অবস্থিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এএনএসভিএম অনুষদ ক্যাম্পাসে গতকাল দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পবিপ্রবি’র এএনএসভিএম অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রফেসর ড. মোঃ মামুন অর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি’র এএনএসভিএম অনুষদের বর্তমান ডিন প্রফেসর ড. আহসানুর রেজা, রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. ফজলুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আবদুস সবুর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক শাহ আলম বিশ্বাস, প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পবিপ্রবি’র প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর কবির সরকার প্রমুখ।

উক্ত কর্মশালার স্বাগত বক্তা প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক শাহ আলম বিশ্বাস প্রকল্পের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আবদুস সবুর উপকূলীয় অঞ্চলে মহিষের জাত উৎপাদন, খামার ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণার বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘২০৪১ সালের ভিশন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদের প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমাদের দেশে গরুর দুধের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি রয়েছে। গরুর বিকল্প হতে পারে মহিষ। গরুর মাংস এবং দুধের চেয়ে অনেক সূচকেই এগিয়ে রয়েছে মহিষ। মহিষের এই গবেষণা প্রকল্পটি উপকূলীয় এলাকায় মহিষের খামার লাভজনক করতে বিপণন ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করে তা নিরসনের উপায় এবং মহিষের প্রোডাক্ট ও বাই-প্রোডাক্ট রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ মহিষের ভ্যালুচেইন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন