১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পর্নো আসক্তদের দিকে নজর রাখছে গুগল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৮ অপরাহ্ণ, ২৭ জুলাই ২০১৯

বিশ্বের নীল ছবির বাজারে ভারতের স্থান তৃতীয়। ভারত ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশেই পর্নো ভিডিও দেখার প্রবাণতা রয়েছে। তবে এই প্রবণতার হারে আসক্ত কেউ কম-কম, কেউ বেশি-বেশি। আবার কেউ অনেক বেশি। তবে এক বিষয়ে প্রত্যেকের মিল রয়েছে আর তা হলো লুকিয়ে পর্নো দেখা; কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এই অভ্যাসেও বাধা আসতে পারে। লুকিয়ে দেখলেও, গোপন থাকে না আপনার পর্নো অভ্যাস!

মাইক্রোসফ্ট, পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং কার্নেজি মেলন ইউনিভার্সিটির যৌথ সমীক্ষার রিপোর্টে কপালে ভাঁজ পড়বে অনেকেরই। কারণ, কমপক্ষে ২২,৪৮৪টি পর্নো ওয়েবসাইটের ওপর পরীক্ষার পর রিপোর্টে দাবি, ৯৩% ওয়েবসাইটই ব্যবহারকারীর নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারে। ‘ওয়েবএক্সরে নামক সফ্টওয়ারের সাহায্যে এই ট্র্যাকিং করা হয়।

চাঞ্চল্য এখানেই নয়, রিপোর্টে আরো জানা গেছে—পর্নো ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক, গুগলের মতো ‘নামি’ সাইটও ইউজারের নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করে। গুগল যেখানে ৭৪% গতিবিধি ট্র্যাক করে থাকে ফেসবুক সেখানে ১০% ক্ষেত্রে তা করে থাকে।

পর্নোপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর আরো রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রাউজারের ইনকগনিটো মুড (Incognito)-ও এই ট্র্যাকিংয়ের থেকে সুরক্ষিত নয়। অর্থাত্, ইনকগনিটো মুডে পর্নো দেখে আপনি যদি ভাবেন,‘কেউ জানছে না।’ আসলে তা নয়। সেই গতিবিধিও ট্র্যাক করতে পারে গুগল বা ফেসবুক। প্রশ্ন আসবেই, এর থেকে ঐ ওয়েবসাইটের লাভ কী? আপনার সার্চিং প্রেফারেন্স বা ইন্টারনেট ঘাঁটার প্রবণতার ভিত্তিতেই বিজ্ঞাপন দেয় ফেসবুক, গুগলের মতো সাইট।

প্রসঙ্গত, শুধু ২০১৭ সালে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পর্নো সাইট Pornhub-এ ২৮৫ কোটি দর্শক পর্নো দেখেছিল। অর্থাত্ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ হাজার পর্নো দেখা হয়েছিল। এর থেকেই স্পষ্ট বিশ্বে পর্নো আসক্তি কোন পর্যায় পৌঁছেছে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন