২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

পানিবাহিত রোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ২৪ জুন ২০১৯

পানির অপর নাম জীবন। শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে পানি পান করতেই হবে। তবে তা হতে হবে অবশ্যই বিশুদ্ধ। কারণ দূষিত পানি পান করলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবেই।

পানিবাহিত প্রধান রোগগুলো হলো : ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিজ বা খাদ্যনালির প্রদাহসহ বিভিন্ন ভাইরাস জাতীয় রোগের সংক্রমণ হয়। ঘরে বাইরে প্রচণ্ড গরম, এই পরিস্থিতিতে সবাই রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ধরনের শরবত, আখের রস, লেবুর শরবত বা অন্যান্য পানীয় পান করে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এগুলো থেকে বাঁচতে নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি বছর ১৮ কোটি মানুষ পানিবাহিত রোগে মারা যায়।

প্রতিরোধে করণীয় : যত্রতত্র রাস্তাঘাটে অনিরাপদ পানি ও শরবত পান থেকে বিরত থাকতে হবে। খোলা, বাসি ও পচা খাবার খাবেন না। এমনকি নিজ ঘরের খাবারও দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকলে গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিত করুন। এজন্য পানি ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন অথবা ৫ লিটার পানিতে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে আধা ঘণ্টা পর থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করুন। বাজারে যেসব পানির ফিল্টার পাওয়া যায়, সরাসরি তা থেকে পানি পান না করে, ফোটানো বা বিশুদ্ধ পানি ফিল্টারে দিয়ে পান করা উচিত। পানি সবসময় পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। খাবার তৈরি এবং খাবার গ্রহণের আগে ও টয়লেটের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। কারণ খাওয়ার আগে এবং টয়লেটের পর হাত পরিষ্কার না করলে হাতে লেগে থাকা ময়লা ও রোগ জীবাণু খুব সহজেই মুখ থেকে পেটে গিয়ে পেটের পীড়া এমনকি টাইফয়েড, কলেরাও করতে পারে। বিশেষ করে এ নিয়ম ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে গড়ে তোলার ব্যাপারে মা, বাবা ও পরিবারের অন্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের ছোটবেলা থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা দিতে হবে। ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। খাবার স্যালাইন অবশ্যই সঠিকভাবে নিয়মানুযায়ী তৈরি করতে হবে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর যদি অস্বাভাবিক ব্যবহার, খিঁচুনি, মাংসপেশিতে ব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যা হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। রোগীকে স্যালাইনের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার প্রদান করুন। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে বারবার মায়ের দুধ খেতে দিন। পানিবাহিত রোগের বিস্তার দমনের জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ একটি পূর্বশর্ত। কিন্তু পানিবাহিত রোগের ওপর যথেষ্ট প্রভাব শুধু বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করলেই হবে না, এর সঙ্গে সঙ্গে মল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও খুবই জরুরি। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা এবং মলের নিরাপদ নিষ্কাশনের মাধ্যমে এসব রোগ সীমিত রাখা যায়।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন