১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পাল্টাপাল্টি সংঘাতে হঠাৎ উত্তপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২৪ অপরাহ্ণ, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাস। রোববার রাতে মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত (২৫) নামে শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতাকে রক্তাক্ত করার পাল্টা প্রতিশোধস্বরুপ তার অনুসারীরা প্রতিপক্ষ গ্রুপের রফিক হাওলাদার (২৩) নামে অপর এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় ৪ জন আহত এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমন-জিসান এবং সিফাত গ্রুপ দুই মেরুতে শক্ত অবস্থান নিলে রাতভর ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ভুমিকা রেখে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও দু’গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তজনা ও চাপা ক্ষোভ চলমান থাকায় পরিবেশ থমথমে রয়েছে।

এদিকে আহত ছাত্রলীগ নেতা সিফাতসহ চার কর্মীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে- রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী ভোলার রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত (২৫) এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহীন (২৬) অবস্থানকালে তাদের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা ইমন-জিসান অনুসারী রসায়ন বিভাগের রফিক হাওলাদারসহ (২৩) অন্তত ৪ থেকে ৫জন। একপর্যায়ে তারা সিফাতকে পিটুনি দেওয়ার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত করে। এই হামলার পরপরই করে সিফাতের অনুসারীদের লাঠিসোঠা সহকারে বিক্ষোভ মিছিল করে পাল্টা অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আকস্মিক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। এবং প্রতিশোধস্বরুপ তারা রাতেই সিফাতের ওপর হামলাকারী শিক্ষার্থী রফিক হাওলাদারকে ক্যাম্পাস সম্মুখ পেয়ে মারধর করে। একই সাথে তার আরও দুই সহযোগী লোকপ্রশাসন বিভাগের রুদ্র দেবনাথ (২৪) এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রদীপ কান্তিকেও (২৩) মারধর করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা সিফাতসহ উভয়গ্রু
পের চার জনকেও উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে শিক্ষার্থীরা। এই পাল্টাপাল্টি সংঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র রুপ নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টরদের পাশাপাশি পুলিশের হস্তক্ষেপে।

অপর একটি সূত্র জানায়- সংঘর্ষ জোরালো আকারে রুপ নেওয়ার আশঙ্কায় রাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখে। ফলে সেখানে পরবর্তীতে কোন সহিংসতা না হলেও চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে এ সংঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে দোষারোপ করে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.সুব্রত কুমার দাস বরিশালটাইমসকে বলেন- হামলার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আহতদের শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় উদ্ধার করে শেবাচিমে প্রেরণ করেন।

পুলিশ মোতায়েনে আপাতত ক্যাম্পাসের পরিবেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন- শান্ত ক্যাম্পাসকে যারা অশান্ত করে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন