২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পাচ্ছেন উন্নত বসতি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:০০ অপরাহ্ণ, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:: দেশের তৃতীয় ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর’ দক্ষিণ উপকূলের মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে। বন্দর ঘিরে প্রকল্প এলাকায় চলছে বিরামহীন উন্নয়ন কার্যক্রম। শত শত শ্রমিক সেখানে কাজ করছে। পটুয়াখালী সদর থেকে পর্যটন শহর কলাপাড়া উপজেলা সদর হয়ে মানুষ যেতে পারছে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকায়। ভূমি অধিগ্রহণের পর এগিয়ে চলছে চার লেনের সংযোগ সড়কের কাজ। পূর্ণাঙ্গ পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য সাড়ে ছয় হাজার একর জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে তিন হাজার পরিবারকে জমি, স্থাপনা, গাছপালা-ঘরবাড়ির তিনগুণ মূল্য পরিশোধ ছাড়াও দেওয়া হচ্ছে উন্নত বসতি। জমি অধিগ্রহণের ফলে যারা বসতি হারিয়েছেন, সেই ধরণের সাড়ে তিন হাজার পরিবারের জন্য আধুনিক ও উন্নত বসতি নির্মাণ করে দিচ্ছে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ।

পায়রা বন্দরের জমি অধিগ্রহণে বসতি হারানো সাড়ে তিন হাজার পরিবারের জন্য নির্মাণাধীন আধুনিক বসতিকে(টাউনশিপ) ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন কর্মকর্তারা। শুধু বসতি পুরস্কার নয়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর চার হাজার ২০০ নারী-পুরুষকে আত্মনির্ভরশীল করতে দেওয়া হচ্ছে ১৫৫ ধরনের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষিত অনেকেই এরই মধ্যে লেগে পড়েছেন নির্মাণাধীন পায়রা বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে।

বন্দরের জমি অধিগ্রহণের ফলে গৃহহীন হওয়া বা হতে যাওয়া ৩ হাজার ৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ ৪৩৮ একর জমিতে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে লালুয়া, উত্তর চান্দুপাড়া, দক্ষিণ চান্দুপাড়া, লেমুপাড়া, ধুলাসার এবং লোন্দা এলাকায় পৃথক ছয়টি আবাসন নির্মাণ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি টাউনশিপ এলাকায় চারতলাবিশিষ্ট স্কুল-কাম-কমিউনিটি সেন্টার-কাম-কমিউনিটি ক্লিনিক-কাম-শেল্টার স্টেশন, মার্কেট, মসজিদ, কবরস্থান, প্রতিটি আবাসনে দুটি খেলার মাঠ, দুটি করে পুকুর এবং হাঁস-মুরগি পালন ও সবজি চাষের জন্য সুপরিসর উঠোন পাবেন বাসিন্দারা। থাকছে সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। প্রতিটি টাউনশিপে দুই ধরনের বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত যাদের ২০ শতাংশের ওপরে ভিটা-বাড়িসহ বসতঘর ছিলো, তারা পাচ্ছেন ‘এ’ টাইপ অর্থাৎ ৬.৫৭ শতাংশ জমির ওপর ৭১৬ ঘনফুট আয়তনের পাকা বসতি এবং যারা ২০ শতাংশের কম ভিটা-বাড়িসহ বসতি হারিয়েছেন, তারা পাচ্ছেন ৪.৯৬ শতাংশের ওপর ৬৩২ ঘনফুট আয়তনের ‘বি’ টাইপ পাকা বাড়ি।

প্রতিটি পরিবারের জন্য প্রতিটি একতলা পাকা বসতিতে থাকছে তিনটি বেড রুম, স্টোর রুম, কিচেনসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা। সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ছাড়াও প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে সবজি চাষ এবং হাঁস-মুরগি পালনের জন্য সুপরিসর পৃথক উঠোন। প্রায় আড়াই মাস আগে এই ছয়টি টাউনশিপের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে টাউনশিপ প্রকল্পের ১৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন