২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:০৭ পূর্বাহ্ণ, ২৪ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু, হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমসহ পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জমাদ্দার বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে জানান, আজ শনিবার রাতে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুর নির্বাচনী জনসভা শেষে ফেরার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের (আনারস প্রতীক) সমর্থকেরা হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে হোসাইন মোশারেফের ওপর হামলা করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনার ব্যাপারে আশরাফুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

আশরাফুর রহমানের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শনিবার রাত ১০টার দিকে রিয়াজুল আলমের নেতৃত্বে গুলিসাখালী বাজারে অবস্থিত আমার (আনারস প্রতীক) নির্বাচনী কার্যালয় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিনকে মারধর করেন। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আহত ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। রিয়াজুল আলম ও হোসাইন মোশারেফ সাকুসহ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিয়াজুল আলমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। হোসাইন মোশারেফের শরীর ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন জড়িত বলে জানা গেছে।’

মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুর রহমানের বিরোধ রয়েছে। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আশরাফুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এরপর আশরাফুর রহমানের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আগামী ৩১ মার্চ এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন