২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

পিরোজপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় পুলিশসহ আহত ১৫

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, ২২ জুন ২০২১

পিরোজপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় পুলিশসহ আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পিরোজপুর >> পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল  ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মেম্বার প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় পুলিশের দুই উপ পরিদর্শক (এসআই), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্য সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।  এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি সদস্যদের বহন করা গাড়ি ভাঙচুর করে। গতকাল সোমবার (২১ জুন) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতাকাছিমা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান শেখসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে রাতে এ ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান হামলার ঘটনা স্বীকার করে বরিশালটাইমসকে জানান, এ সময় হামলাকারীরা তার (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি সদস্যদের বহন করা গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

স্থানীয়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন রাত ৮টার দিকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ হয়। এ সময় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলমগীর হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পর বিজয়ী আলমগীর হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুল হোসেন মোল্লার কিছু ব্যালট বিজয়ী প্রার্থীর বাল্ডিলে রয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল মোল্লার কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ও একপর্যায়ে কেন্দ্রে হামলা করেন। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই ইমাম হাসান (৩১), মো. বাচ্চু মিয়া (৫৩) এবং পুলিশ সদস্য মো. নুরুল আমীন (৫৮), ছগির হোসেন (২৮), দেব দুলাল হালদার (৩০), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী সাইমুন হোসেন (৩৫), আনছার সদস্য ইমারেজ ফকির (৩৫), মো. আমিন ফকির, মো. শাহ আলম (২৮) নির্বাচনী কাজে নিয়েজিত সালমা বেগম, স্থানীয় সায়েব আলী শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (৫৬), হাসনা বানু (৮০), ছাত্রলীগ নেতা রাকিব শেখ আহত হন।

এ ঘটনায় ওই রাতে জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান সরেজমিনে পরিদর্শন ও আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে নাজিরপুর যান।

বরিশালটাইমসকে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান ওই সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলা ও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. শাহ আলী আশ্রাফ বাদী হয়ে রাতেই একটি মামলা করেছেন।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন