২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পিরোজপুরে স্বামীর বাড়িতে না যাওয়ায় কিশোরীকে বাবা-মায়ের নির্যাতন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৬ অপরাহ্ণ, ২০ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:: স্বামীর বাড়িতে যেতে না চাওয়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছাদিয়া ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা মরিয়াম বেগমের বিরুদ্ধে।

পঞ্চম শ্রেণির সনদ অনুযায়ী, ১৩ বছর সাতমাস বয়সী কিশোরী বধূ ছাদিয়া নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।

স্বামীর সংসার থেকে মুক্তিসহ বাবা-মায়ের নির্যাতন থেকে বাঁচতে ওই স্কুলছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

ইউএনও’র কাছে দেওয়া দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার মা মরিয়ম বেগম গত জানুয়ারিতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায় সাদিয়াকে। সেখানে আলম মিয়া নামের এক যুবকের সঙ্গে জোড় করে ছাদিয়াকে বিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ছাদিয়াকে স্বামীর কাছে রেখে তার মা বাড়ি চলে আসেন। সেখানে ছাদিয়া লেখাপড়ার কথা বললে স্বামী তাকে মারধর করেন। একপর্যায় ছাদিয়া পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে এসে তার দাদা মকবুল হোসেনের ঘরে থেকে পড়ালেখা শুরু করে।

স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসার কারণে তার মা মরিয়াম বেগম, বাবা রফিকুল ইসলাম ও স্বামী আলম মিয়া তাকে মারধর করেন এবং শ্বশুরবাড়িতে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় সাদিয়া তার বাবা, মা ও স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য এবং পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন জানান।

অভিযোগ পেয়ে ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু সাদিয়ার বাবা ও মাকে আগামী বুধবার সকালে তার অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন।

ছাদিয়ার দাদা মকবুল হোসেন বলেন, তার ছেলে রফিকুল ইসলাম তাকে মারধর করতে দ্বিধা করে না এবং পুত্রবধূ মরিয়াম বেগমও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ওই মেয়েটিকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

তবে এসব অভিযোগ সম্পর্কে ছাদিয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন