লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি সকালে কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুল ইসলামের কাছারী ঘরে মো. কামরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন জোয়ার্দ্দারসহ পাঁচ-ছয়জন লোক বসে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় যাচাই-বাছাই বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এসএম রেজাউল করিম সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে সেখানে বসে থাকা নজরুল ইসলামের গলায় পেঁচানো নৌকা ও জাতির পিতার ছবি সম্বলিত একটি মাফলার দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে এসআই রেজাউল করিম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অসম্মানজনক ভাষায় কথা বলেন এবং গালিগালাজ করেন।
এছাড়া এর আগে তিনি কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিয়ার রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি হত্যা এবং পেন্ডিং মামলার আসামি করার ভয়ভীতি দেখান।
অভিযোগকারীরা এ ব্যাপরে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এসআই এসএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসআই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এসআই রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।’
দেশের খবর