১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পেঁয়াজ বিমানে, আর চিন্তা নাই: প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৪৮ অপরাহ্ণ, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:::: পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারা এই দাম বৃদ্ধির পেছনে জড়িত তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ যতই এগিয়ে যায়, মানুষ যত ভাল থাকে, একটা না একটা ইস্যু তৈরি করার এবং মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করা হয়। আগামীকাল বা পরশুর মধ্যেই বিমানে করে পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে। এখন পেঁয়াজ বিমানেও উঠে গেছে। কাজেই আর চিন্তা নাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পেঁয়াজ নিয়ে একটা সমস্যা। এটা প্রায় সব দেশেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে যেটা কেন কী কারণে এতো একটা অস্বাভাবিকভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে জানি না? যে কারণে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি, এখন আমরা বিমানে করে, বিমানের কার্গোতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ে আসছি।’

‘আমরা দেখতে চাই, এই ধরনের চক্রান্তের সাথে কেউ জড়িত আছে কি না? স্বাভাবিকভাবে আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় অনেক পণ্য উৎপাদন বাড়ে বা উৎপাদন কমে। আর যেহেতু পেঁয়াজটা বেশিদিন রাখা যায় না, কিন্তু কেউ যদি এখন হোল্ডিং করে দাম বাড়িয়ে দু’পয়সা কামাতে চায় তাদের এটাও চিন্তা করতে হবে, পেঁয়াজ তো পচেও যাবে।’

‘এখন পচা পেঁয়াজও শুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। মানুষকে কষ্ট দেওয়াটা কেন? এভাবে কারা এর পেছনে আছে, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। কারণ যতই আমরা এগিয়ে যাই, মানুষ যত ভাল থাকে, একটা না একটা ইস্যু তৈরি করার এবং মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবাইকে অুনরোধ করব, এইভাবে চেষ্টা না করে, এর পেছনে মূল কারণটা কি সেটা খুঁজে বের করতে হবে।’

ভারতেও পেঁয়াজের দাম বেশি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে একশ রূপিতে এখন তারা পার কিলো পেঁয়াজ কিনতে পারে। শুধু একটা স্টেটে তারা তাদের পেঁয়াজ ওই স্টেটের বাইরে যেতে দেয় না, শুধু সেখানে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যা যাতে না থাকে তাই কার্গো ভাড়া করে আমরা পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। আগামীকাল পরশুর মধ্যেই এই বিমানে পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে।’

দেশের মানুষের জন্য একটা সুন্দর জীবন দেওয়াই তার সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা শ্রেণি আছে, একটা গোষ্ঠী আছে। মানুষ যত ভাল থাকবে তারা তখন মনোকষ্টে ভোগে অসুস্থতায় ভোগে।এখন তাদের এই রোগ কিভাবে সারানো যায়, এটা জনগণই বিচার করবে। জনগণই এটা দেখবে।’

মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে। দুর্নীতির টাকায় কাউকে আয়েশ করতে দেওয়া হবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সারাদেশে সেবার মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে শিশু কিশোরদের মাঝে এই সেবার মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয় নিজেরাও একটা সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করতে হবে যাতে শিশু কিশোরদের মাঝে সেবার মানসিকতা গড়ে ওঠে এবং তারা উদ্বুদ্ধ হয়।’

সম্মেলনে আরও উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন