২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

প্রচারণায় দেখা মিলছে না নৌকার-লাপাত্তা লাঙ্গল, ঘুরে দাড়াচ্ছে বিএনপি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩২ অপরাহ্ণ, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে (উজিরপুর-বানারীপাড়া) নৌকার পক্ষে তেমন কোনো প্রচারনা দেখা না গেলেও গনজোয়ার সৃষ্টি করে এগিয়ে রয়েছে ধানের শীষ।

তবে নির্বাচনী মাঠে প্রায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মহাজোটের শরিকদল জাতীয় পার্টির মনোনিত দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।

হঠাৎ করে নির্বাচনী মাঠে জাতীয় পার্টি নিজেদেরকে গুঁটিয়ে ফেলেছেন বলে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন নৌকার বিপক্ষে লড়বেন না জাপা প্রার্থী।

প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীন দলসহ বাকী দলগুলোর তেমন কোনো প্রচারনা না থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যেন কোনো আমেজই নেই এ আসনটিতে।

এদিকে এ আসন থেকে বিএনপির ‍চূড়ান্ত প্রার্থী হয়ে সরদার সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এ আসনের উজিরপুর পৌর এলাকায় বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ভোটের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

এ সময় তিনি জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। এরই মধ্য দিয়ে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে চষে বেড়াতে শুরু করেছেন নির্বাচনী আসনের সাতলা, হারতাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম।

তাছাড়া প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই সান্টুর পক্ষে পথসভা,গনসংযোগ আর উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে দলীয় নেতাকর্মীরা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির র্শীষ নেতারা।

তবে এ আসনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচনী এলাকা উজিরপুরে আসেননি এবং তাদের পক্ষেও কাউকে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসন। মোট ৩ লাখ দুই হাজার ৩শ তেত্রিশ ভোটের এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৬ জন নারী। নতুন ভোটার রয়েছে ৪৩ হাজার ২৭৯ জন।

তবে এ আসনে একক কোনো দলের আধিপত্য নেই। দেশের প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে জেতে আওয়ামী লীগ। এরপর তা ফিরে পেতে লেগেছে ৩৬ বছর। তবে স্বাধীনতা পর এই আসনে সবচেয়ে বেশি ৪ বার সংসদ সদস্য পেয়েছে জাতীয় পার্টি। মোট আওয়ামী লীগ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিএনপি জিতেছে দুই বার করে।

এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহে আলম তালুকদার, বিএনপির সরদার সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু, স্বতন্ত্র (জাসদ-আম্বিয়া) মো. আনিছুজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির মো. জহুরুল ইসলাম টুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নেছার উদ্দিন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাহেব আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন