২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঘরের মালামাল সরিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ, ০৯ মে ২০২২

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঘরের মালামাল সরিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল :: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের সন্যাসিকান্দা গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঘরের মালামাল সরিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন মো. লতিফ গাজী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছেন বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার (৯মে) দুপুর দেড়টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লতিফ গাজী বলেন, তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রী ও ঠিকাদারি কাজ করেন। একই গ্রামের মো. শহীদ মোল্লা (৫৫) ও তার (লতিফ গাজী) সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। সেই সুবাধে তাঁর (লতিফ) ঠিকাদারি কাজের জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় বাঁশ ও কাঠ নিয়ে ভাড়া দেওয়ার কথা বলে বিক্রি করে দেন শহীদ মোল্লা। প্রায় এক বছর আগে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল আত্নসাতের মামলা করেছেন লতিফ গাজী। ওই মামলায় সম্প্রতি কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন শহীদ মোল্লা । এছাড়াও শহীদ মোল্লার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা চলমান আছে। এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় লোকজন গত শুক্রবার সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু শহীদ মোল্লা ওই সালিশে উপস্থিত হননি। ঘরের মালামাল সরিয়ে ওইদিন দিবাগত রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে নিজ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় শহীদ মোল্লা। এ ঘটনায় তাঁকে (লতিফ) ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার পায়তারায় লিপ্ত আছেন শহীদ মোল্লা।

শহীদ মোল্লার মানিত সালিশ মো. বাবুল খান (৫৫) বলেন,‘ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা শহীদ মোল্লার পূর্বপরিকল্পিত। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ঘরে আগুন দেওয়ার মত এ জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন তিনি। এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।’ একই কথা বলেন আরেক মানিত সালিশ মো. হানিফ (৪৫)।

এ বিষয়ে শহীদ মোল্লা শুক্রবার সালিশ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,‘বাবুল খান ওই দিন সময় দিতে পারেননি।তাই সালিশ হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে আসছেন লতিফ গাজী। তাঁরা-ই (লতিফ) তাঁর (শহীদ) স্ত্রী ও ছেলের হাত-পা বেঁধে গত শুক্রবার ঘরে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে ফেলেছে। ওই সময় স্ত্রী ও ছেলের হাত-পা খুললো কে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,ঘটনার সময় তিনি (শহীদ) ছিলেন না। একঘন্টা পরে ফোন দেন, তখন বিস্তারিত বলতে পারবো।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘সরেজমিনে প্রাথমিকভাবে শহীদ গাজীর ঘরে প্রতিপক্ষের আগুন দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। শুক্রবার দিন সন্ধ্যার দিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।এরপরেও আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত অব্যাহত আছে।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন