১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

প্রভাবশালীর নির্দেশে নারীকে থানায় আটকে ওসির নির্যাতন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৫২ পূর্বাহ্ণ, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

বরগুনার আমতলীর প্রভাবশালী জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধা নির্দেশে এক নারীকে থানায় আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলাটির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ সোমবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার শাহিদা আক্তার সুমি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমি বলেন, ‘জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধার যোগসাজস ও আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারের নির্দেশে এসআই মো. ফয়সাল আমাকে আমার জমি থেকে ধরে থানায় থানায় নিয়ে যায়। পরে ওসি আবুল বাশার আমাকে অন্তত পাঁচ ঘন্টা থানায় আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন ও গালাগাল করেছেন। আমি তার এমন আচরণের প্রতিবাদ করলে আমাকে মামলায় জড়িয়ে হররানি করার হুমকি দেন। পরে জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধার চক্রান্তে আমার ছোট ভাই রুপক তালুকদারকে আসামি করে মামলা দেয়। আমি এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনা পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমতলী পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধা ২০১৪ সালে উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে জিমি ব্রিকস নামে ইটভাটা নির্মাণ করেন। ওই জমির পাশে আমার জমি রয়েছে। ২০১৭ সালে নয়ন মৃধা তার ভাটার পরিধি বাড়াতে আমার জমি জোর করে দখলের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে নয়ন মৃধার সাথে আমার একাধিক মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে নয়ন মৃধা তার ইটভাটার পরিধি আরও বাড়াতে পার্শ্ববর্তী আব্দুল বারেক হাওলাদার ও আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ২ একর ৬৩ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের পুত্র সাইমুন ইসলাম রোমেন গত ৬ নভেম্বর বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. নুর হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ইটভাটা ও পার্শ্ববর্তী জমিতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারি করেন ও আদালতের বিচারক আমতলী থানাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে নয়ন মৃধা প্রভাব খাটিয়ে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আব্দুল বারেক হাওলাদার ও আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদরের জমি দখল করতে জমিতে ইট বিছিয়ে পিলার পুতে কাজ শুরু করেন। এ ঘটনা নিয়ে সাইমুন ইসলাম রোমেন ও নয়ন মৃধার লোকজনের সাথে সংঘর্ষে বাধে। এ ঘটনায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। অথচ আমাকে নয়ন মৃধার যোগসাজসে থানায় নিয়ে আসা হয়।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধার সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শাহিদা আক্তার সুমিকে কোনো ধরনের নির্যাতন করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন তিনি।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন