২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

প্রভাষককে বরখাস্তের হুমকি, মাউশির শোকজে অধ্যক্ষের ক্ষোভ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, ১৯ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সহকারী অধ্যাপক পদে তিন শিক্ষকের কাগজপত্র অনলাইনে সেন্ট করার অভিযোগে মাউশি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কালিম উল্ল্হাকে ব্যাখ্যা চেয়ে সাত দিনের সময় দিয়েছে। এতে অধ্যক্ষ কালিম উল্ল্হা একই কলেজের পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের প্রভাষক চঞ্চল সাহাকে সাম্প্রদায়িক কথা উচ্চারণ করে কিভাবে চাকুরি করেন তা দেখিয়ে দেবার হুমকি দিয়েছে । বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কলাপাড়া পৌরশহরের রাডার স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে প্রভাষক চঞ্চল সাহা কলাপাড়া থানায় ৭১৪ নম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, প্রভাষক চঞ্চল সাহা মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে ২০০০ সালে চাকুরিতে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিরতিহীন ভাবে কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ১০ বছর বিনা বেতনেও চাকুরি করেছেন। ২০১০ সালের মে মাসে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে এমপিও’র আট বছর পূর্ণ হলে সহকারী অধ্যাপকের জন্য তিনিসহ আরও দু’জন শিক্ষক কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বরাবরে আবেদন করেন। কমিটি তাদের পদোন্নতির সকল কাগজপত্র সরবরাহ করে অনলাইনে সেন্ট করার অনুমতি দেন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ তাদের কাছে খরচ বাবদ টাকা দাবি করে। এতে ওই শিক্ষকরা তার দাবি কিছুটা পূরণ করলেও অধ্যক্ষ’র চাহিদা মত করতে পারেনি।

ইতোমধ্যে আরও একজন শিক্ষক পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলে অধ্যক্ষ ১ নম্বর জ্যেষ্ঠ শিক্ষক চঞ্চল সাহাকে বাদ দিয়ে গোপনে অপর তিনজন জুনিয়র শিক্ষকের কাগজপত্র মাউশি বরাবরে সেন্ট করেন। বিষয়টি সম্পর্কে প্রভাষক চঞ্চল সাহা জানতে পেরে এর প্রতিকার চেয়ে মাউশি বরাবরে আবেদন করেন। মাউশির উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে (স্মারক নম্বর ৭জি/১৫৪(ক-৩) /১০(অংশ-১) ২০৮১/৩) অধ্যক্ষ কালিম উল্লাহকে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জুনিয়র তিন শিক্ষকের কাগজপত্র অনলাইনে সেন্ট করা এবং চাহিদা অনুযায়ী অনৈতিক দাবি করার ব্যাখ্যা চেয়ে সাত দিনের সময় দিয়েছেন।

এ চিঠি ৮ জুলাই প্রাপ্তির পর বুধবার (১৭ জুলাই) প্রভাষক চঞ্চল সাহা কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অধ্যক্ষ অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগাল ও সাম্প্রদায়িক কথা উল্লেখ করে কিভাবে কলেজে চাকরি করেন তা দেখিয়ে দেবার হুমকি দেয়। এমনকি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে চাকুরি থেকে বরখাস্তের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কালিম উল্লাহ হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন